
ইয়েমনের সম্প্রতি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মাহমুদ আল অতমি নামের এক সাংবাদিকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মারা গেছে। সেই শোকে স্তব্ধ আল অতমি। হাসপাতালে শুয়ে নিহত স্ত্রীর জন্য চোখের পানি ফেলছেন। ওই দিনের ভয়াবহ পরিস্থিতি মনে করে ওতমি বলেন, ‘আমি যদি রাশার সাথে মারা যেতে পারতাম।’
রাশা আল হারাজিও (বয়স ২৬) পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। গাড়ি বোমার ঘটনায় তিনি যখন নিহত হন তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আল অতমি বলেন, ইরান সমর্থিত হুথিদের দমন পীড়নের বিষয়ে তুলে নিয়ে আসায় তাকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, ‘ আমি দেড় মাস আগে জানতে পেরেছিলাম হুথিরা আমার নাম,ঠিকানা এবং গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে। কীভাবে দ্রুত এডেন ত্যাগ করা যায় এইটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছিলাম, তারপর আমি মুকাল্লা যাওয়ার সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কিন্তু আমার স্ত্রী ওই সময় অন্তসত্ত্বা ছিলো। মঙ্গলবার, আমি আমার স্ত্রীকে মেডিক্যাল চেকআপের জন্য গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম আর ওই মুহূর্তেই হামলার শিকার হয়।’
গাড়ি হামলায় আল ওতমির পিঠের হাড় ভেঙে যায় এবং সেই সাথে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি বলেন, ‘তারা আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। সালেহ আল সামাদের হত্যার সময় থেকে আমি হুথিদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আসছি।’
আল অতমি আর তার স্ত্রী প্রথম সাংবাদিক না যাদেরকে লক্ষ্য করে ইয়েমেনে হামলা চালানো হয়েছে। গেলো সাত বছরে অনেক সাংবাদিকের এভাবে মৃত্যু হয়েছে। অক্টোবরে গাড়ি বোমা হামলায় তিন সাংবাদিক মারা গেছে। ২০১৫ সাল থেকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া ১ হাজার ৪৫০টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষের সময় ৩০০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে অপহরণ করা হয়েছে।