বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘হ্যালো’ বলি কেন?

প্রচলিত আছে, স্যার অ্যালেকজান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করে প্রথম তার প্রেমিকা ‘মার্গারেট হ্যালো’কে ফোন করেন। ফোন করে তিনি যে কথাটি প্রথম বলেছিলেন, তা ছিল ‘হ্যালো’। তিনি তার বান্ধবীর নাম ধরেই ডেকেছিলেন এবং প্রেমিকার প্রতি বিজ্ঞানীর ভালোবাসার ডাক হিসেবে তা বিশ্বজুড়ে প্রচলিত হয়ে পড়লো। অথচ তা সঠিক নয়। আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল যাকে বিয়ে করেছিলেন তার নাম ম্যাবেল গার্ডিনার হুবার্ড। অর্থাৎ ‘হ্যালো’ শব্দ নিয়ে প্রচলিত ধারণাটি ভুল।

যুগ যুগ ধরে এত এত মানুষ যে শব্দ ব্যবহার করে আসছেন, প্রকৃত অর্থে সেটা কোত্থেকে এলো? কীভাবে এলো? প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে নিশ্চয়। তাহলে আর দেরি নয়, চলুন জেনে আসা যাক, এর প্রকৃত ইতিহাস-

এই ‘হ্যালো’ শব্দের উৎপত্তি প্রথম ঘটে প্রায় ১৫০ বছর আগে ১৮৭৭ সালে।

প্রায় ১৫০ বছর আগে টেলিফোন যন্ত্রটির আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী স্যার অ্যালেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। সেখান থেকেই টেলিফোনের প্রচলন শুরু হয়। কিন্তু মানুষ টেলিফোনে যে শব্দটি প্রথম বলেছিলো তা ‘হ্যালো’ নয়।

আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল সর্বপ্রথম নিজের সহকারীকে টেলিফোন করে প্রথম শব্দটি বলেছিলেন ‘আহয়হই’ (‘ahoy’)। এরপর কিছুদিন ব্যবহার হয়েছিল এই ‘ahoy’।

টেলিফোন আবিষ্কার হওয়ার প্রাথমিক অবস্থায় কোনো রিং কিংবা কল ডিসকানেক্টের ছিলো না । সব সময়ই একটি লাইন কানেক্ট করা থাকতো, প্রয়োজনের সময় কথা বলা হত দুই পাশ থেকেই। সেই সময় একপাশের ব্যক্তির সঙ্গে অপরপাশের ব্যক্তির কথা বলার সময় কথোপকথন শুরু করার জন্য সম্ভাষণের প্রয়োজন দেখা দিলো।

১৮৭৭ সালের ১৮ জুলাই থমাস আলভা এডিসন ‘প্রিন্সিপাল অব রেকর্ডেড সাউন্ড’ আবিষ্কারের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজের জন্য বারবার ‘হ্যালো’ শব্দটি উচ্চারণ করেন। আর এই শব্দই তিনি প্রথম তার উদ্ভাবিত ‘পেপার সিলিন্ডার ফনোগ্রাফ’ যন্ত্রে রেকর্ড করেছিলেন। এরপর থেকেই ‘হ্যালো’ শব্দটির ব্যবহার শুরু হয় এবং আজও আমরা ব্যবহার করে আসছি ‘হ্যালো’। ধারণা করা হয় বিশ্বের প্রায় ৯৮ ভাগ মানুষ এই ‘হ্যালো’ শব্দটি ব্যবহার করেন।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১