মিশিগান প্রতিদিন ডেস্কঃ মার্কিন সামরিক পাইলট চার্লস ম্যাকগি। সেনাবাহিনীতে বর্ণবাদ এবং বিচ্ছিন্নতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন তিনি। ১০২ বছর বয়সে তিনি মারা গেলেন।
স্থানীয় সময় রবিবার সকালে ঘুমের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। তার পরিবার বলছে, মৃত্যুর সময় তার ডান হাত বুকের উপর রাখা ছিল। মনে হচ্ছিল তিনি যেন নির্মলভাবে হাসছেন। সূত্র: বিবিসি।
ম্যাকগি তার দুই দশকের কর্মজীবনে চার শতাধিক মিশনে বিমান উড়িয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধসহ ভিয়েতনাম এবং কোরিয়া সংঘাতের সময়ও তিনি বিমান উড়িয়েছেন।
স্থানীয় সময় রবিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন, আজ আমরা একজন মার্কিন বীরকে হারালাম। তাকে হারিয়ে আমি শোকাহত। তিনি যে আত্মত্যাগ করেছেন, সে জন্যও অবিশ্বাস্যভাবে তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
ম্যাকগি একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। মাত্র ২৩ বছর বয়সে ১৯৪২ সালে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তিনি কৃষ্ণাঙ্গ সামরিক বিমানচালকদের অন্যতম ব্যক্তি। তার ইউনিট তুস্কেগি এয়ারম্যান নামে পরিচিত ছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সেনাবাহিনী সে দেশের বৃহত্তম সংখ্যালঘু নিয়োগকর্তা হয়ে ওঠে। তবে কৃষ্ণাঙ্গদের ইউনিট, প্রশক্ষণ এবং সুবিধা ছিল একেবারেই আলাদা।
১৯৪১ সালে মার্কিন কংগ্রেস সামরিক বিমান সেনাদের মধ্য থেকে কৃষ্ণাঙ্গদের নিয়ে ইউনিট গড়ে তুলতে বাধ্য করে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ওই ইউনিটের সদস্যদের আলাবামায় পাঠানো হয়। এমনকি অন্য সেনাদের থেকে তাদের আলাদা রাখা হয়।
এ ব্যাপারে ম্যাকগি ২০০৭ সালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমরা আলাদা কিছু প্রমাণ করেছি। সেটা শুধু বিমানের ইতিহাসে নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক ইতিহাসেও তা করেছি।
সশস্ত্র বাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর ম্যাকগি তার জীন উৎসর্গ করেছেন তুস্কেগি এয়ারম্যান সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। এছাড়া তরুণদের বিমানখাতে আগ্রহী করে তুলতেও চেষ্টা করেছেন তিনি।