সোমবার, ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪২ রানের ব্যবধানে ১০ উইকেট, বাংলাদেশ ১৪৩-এ

১০১ রানে শূন্য উইকেট থেকে ১৪৩ রানে অলআউট। এমন মহাবিপর্যয়ের ব্যাটিং বাংলাদেশ দল সবশেষ কবে দেখেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। সেটাও এমন এক দলের বিপক্ষে, যারা কিনা বিশ্বকাপেই জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। পুরো সিরিজে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট। মিরপুরের ইনিংসের প্রথম দিকটা দেখে খানিক আশা ভরসাও হয়ত পেয়েছিল টাইগার ক্রিকেটের ভক্তরা।

কিন্তু কীসের কী! মিরপুরের মহাবিপর্যয় বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়েই যেন প্রশ্ন তুলেছে আরও একবার। তানজিদ তামিমের বিদায়ের পর থেকেই একের পর এক দায়িত্বহীন ব্যাটিং ইনিংস দেখেছে স্টেডিয়ামে জড়ো হওয়া হাজারো দর্শক। জিম্বাবুয়ের সামনে চতুর্থ ওয়ানডেতে টার্গেট মোটে ১৪৪ রান। ১০ ওভারে ৯০ করার পর টাইগারদের ইনিংস থেমেছে ১৯.৫ ওভারে।

 

তানজিদ তামিমকে দিয়েই বিপর্যয়ের শুরু। ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর তিনি লুক জঙওয়ের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন। যদিও নিজের কাজটা ঠিকই করে গিয়েছিলেন তিনি। ৫২ রানে ফেরেন এই ওপেনার। একই বোলারকে উইকেট দিয়েছেন সৌম্যও কিছুটা ধীরগতির ইনিংসে ৩৪ বলে ৪১ করে হয়েছেন এলবিডব্লু।চলতি সিরিজে দারুণ ছন্দে থাকা হৃদয়ও এদিন ব্যর্থ। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে বেনেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মিডল অর্ডারের এই ভরসা। ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে এসে ব্যর্থ সাকিবও। ব্যাটে-প্যাডে বিশাল গ্যাপ দিয়ে বল ঢুকতে সমস্যাই হয়নি। বেনেটের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ১ রান করেই।

একই ওভারের শেষ বলে ফিরেছেন অধিনায়ক শান্ত। দম ফেলার আগেই ফিরেছেন সাকিব আল হাসান (১), অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (২) ও জাকের আলি (৬)। আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে মিরপুরের গ্যালারিতে তখন ভুয়া ভুয়া স্লোগান।

 

যেকোনো ব্যাটিং বিপর্যয়ে রানআউট থাকবে, এটাই যেন ক্রিকেটের এক অলিখিত নিয়ম। মিরপুরেও এর ব্যতিক্রম হলো কই! তাসকিন আহমেদ শর্ট মিড উইকেটে বল ঠেলেই দৌড় দিয়েছিলেন। অপর প্রান্তে থাকা রিশাদের নিষেধ তার কানেই যাওয়ার আগেই রানআউট তিনি। ফিরেছেন ডাক মেরে। জঙওয়ে এরপরে ভেঙ্গেছেন রিশাদের স্ট্যাম্প। দারুণ এক ইয়র্কারে ধরাশায়ী তিনি।

 

তানজিম সাকিব একটা চারই মারতে পেরেছেন। বিপর্যয়ের মাঝে ওটা যেন ক্ষত বাড়িয়েছে বেশি। ভাগ্যটাও অবশ্য পাশে ছিল না তার। দিন যেন খারাপ যাবে, এটাই পণ ছিল। নয়ত বল কেন নিচের কানায় লেগে স্ট্যাম্পে ওভাবে নেমে আসবে! শেষ হয়েছে মুস্তাফিজের উইকেটে। মুজারাবানির বাড়তি বাউন্সের বলে উইকেটের পেছনে গিয়েছে ক্যাচ। ৪২ রানের ব্যবধানে ১০ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ ১৪৩ রানেই।

 

 

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০