বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে ঘটনাগুলো ঘটছে সরকারকে আহ্বান জানাব, অতি দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে ঘটনাগুলো ঘটছে সরকারকে আহ্বান জানাব, অতি দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।
বিএনপি অন্যায়কে সমর্থন করে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আপনারা যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন গণতন্ত্রের জন্য। সবাইকে বিরত রাখুন, কেউ যেন অন্যায় কাজ করতে না পারে। বিএনপি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অতীতেও করেছে এবং এবারও করবে।
দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বাংলাদেশে রাষ্ট্রব্যবস্থা ও রাষ্ট্র কাঠামোর পরিবর্তন করে একটা নির্বাচন দ্রুত চাই। কারণ গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। আর গণতন্ত্রের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন নেই বলে আজকে দেশে এই ঘটনাগুলো ঘটছে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে, মৃত্যু বাড়ছে, দুর্বৃত্তরা সুযোগ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আবারও এই আশার কথা বলতে চাই যে আমরা নিশ্চয়ই সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ থেকে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।’
ছাত্রদলের আত্মত্যাগকারীর শহীদদের নিয়ে একটি পুস্তক তৈরি করার পরামর্শ দেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে শহীদদের যথাযথ সম্মান দেবে।
জুলাই-আগস্টের শহীদ এবং আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আবারও দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বক্তব্য দেন।