ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেছেন, ‘ইবির ফোকলোর বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে ছাত্রলীগকে আমন্ত্রণ জানিয়ে পুনর্বাসনের চেষ্টা হয়েছে। এমনকি ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগেও এক ফ্যাসিস্ট অভিযুক্ত শিক্ষককে সদস্য করা হয়েছে। প্রশাসন ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে প্রেম প্রেম খেলছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার ও খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড থেকে ফ্যাসিস্টদের অপসারণের দাবিতে করা অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের নিচে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলীর কার্যালয়ে যান। সেখানে তারা ফ্যাসিস্টদের নিয়োগ বোর্ড থেকে অপসারণের দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম প্রদান করেন। একই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঝালচত্বর সংস্কার ও শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের লোয়ার ও হায়ার বোর্ডের তালিকা প্রকাশের আহ্বান জানান।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবিব, আবু দাউদ, আনারুল ইসলাম, রোকনউদ্দিন, সদস্য সাব্বির হোসেন, আবু সাইদ রনি, নুর উদ্দিন, রাফিজসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
এ সময় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত ও তার সহযোগীরাও সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্যসচিব মাসুদ রুমি মিথুন বলেন, ‘মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে গিয়ে যদি ছাত্রলীগের পুনর্বাসন করা হয়, তা আমরা মেনে নেব না। আওয়ামী দোসরদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাজিদ হত্যার দ্রুত বিচার চাই। খুনিদের দলীয় পরিচয় নয়, তাদের একমাত্র পরিচয় তারা অপরাধী।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে গোপনে ফ্যাসিস্টদের রাখা হচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগের হায়ার বোর্ডে ২৬ জন চিহ্নিত ফ্যাসিস্ট সদস্য রয়েছে। প্রশাসন কেন তাদের সুযোগ দিচ্ছে?’
সাজিদ হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘একটি চক্র আমাদের ভাই সাজিদকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। অথচ প্রশাসন আজও উদাসীন। এমন নিষ্ক্রিয় ও নির্লজ্জ প্রশাসন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে দেখা যায়নি।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তে জানা যায়, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় দুই মাস পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
 
										 মিশিগান প্রতিদিন ডেস্ক
																মিশিগান প্রতিদিন ডেস্ক								 























