আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-এর সহায়তায় ‘বাংলাদেশ অ্যাডভান্সমেন্ট ফর ক্রেডিবল, ইনক্লুসিভ অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্ট ইলেকশন্স (ব্যালট)’ নামের প্রকল্প হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যেখানে তিন বছরে ১৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তা জানিয়েছে, ইআরডির অনাপত্তিপত্র পেলেই ২০২৫ সাল থেকে ২০২৭ সাল অর্থাৎ তিন বছরে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সংস্থাটি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ইউএনডিপিকে নির্বাচন ভবনে একটি অস্থায়ী কার্যালয়ও দিয়েছে ইসি। ইসির গবেষণা ও প্রকাশনা শাখার সহকারী প্রধান আরিফুল ইসলাম ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) অনাপত্তি চেয়ে চিঠিও দিয়েছে।প্রকল্প প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ অ্যডাভান্সমেন্ট ফর ক্রেডিবল, ইনক্লুসিভ অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্ট ইলেকশন্স (ব্যালট) প্রকল্পটিতে তিন বছরে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ ৫৩ হাজার ৪৮৬ ডলার বা ২১৯ কোটি ২১ লাখ ২৬ হাজার ২৬৭ দশমিক ৪২ টাকা (১৩ মে ডলারের বিনিময় হার অনুযায়ী)। এই পুরো অর্থ ব্যয় হবে ২০২৭ সালের মধ্যে।
প্রকল্প সহায়তার অংশ হিসেবে এই অর্থ ব্যয় হবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে উপকরণ তথা- ক্যামেরা, ল্যাপটপ, আইরিশ স্ক্যানার, ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার, সিগনেচার প্যাড, ডকুমেন্ট স্ক্যানার ক্রয়; সার্ভার সুরক্ষা; অপ্রপচার; গুজব; বিদ্বেষ ছড়ানো; নির্বাচনি আইনে জেন্ডার সংবেদনশীলতা; প্রবাসী ভোটিং; ভোটার শিক্ষণ কার্যক্রম; সক্ষমতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ; প্রচার কার্যক্রম; জেন্ডার সংবেদনশীল রিপোর্টিংয়ের ওপর গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণ; নারীদের ওপর নির্বাচনি সন্ত্রাস প্রতিরোধ কার্যক্রম প্রভৃতি খাতে।ইউএনডিপি দীর্ঘদীন ধরেই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। অতীতেও বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থার উন্নয়নে নানা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করেছে সংস্থাটি।