শর্ত ছাড়াই করহার ২.৫ শতাংশ হারে কমিয়ে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির জন্য ২৫ শতাংশ এবং পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির জন্য ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।এছাড়া সংগঠনটি করমুক্ত আয় সীমা ৫ লাখ টাকা করার, সরবরাহ পর্যায়ে উৎসে কর কমানোর, রপ্তানি আয়ের উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) প্রাক বাজেট আলোচনায় সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) এসব প্রস্তাব দিয়েছেন।তিনি বলেন, গ্রস-প্রফিট খাতভিত্তিক নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, যা যুক্তিসঙ্গত নয়। আবার গ্রস-প্রফিট কমে গেলে বা ব্যবসায় লস হলে তা বিবেচনায় নেওয়া হয় না। এমনকি পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বিক্রয় কম হলেও কর কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনায় নেয় না। এটি নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। ব্যবসায় ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও টার্নওভার কর নির্ধারণ করা হয়, যা প্রতিষ্ঠানের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।সংগঠনটির অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে অনুন্নত এলাকার শিল্পে বিশেষ কর অবকাশ দেওয়া, নিম্নতম শুল্ক হারে পণ্যের কাঁচামাল, উপকরণ, মেশিনারিজ যন্ত্রপাতি আমদানির সুযোগ দেওয়া ইত্যাদি।
নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স পাইকারি ব্যবসায়ীদের টার্নওভারের ওপর ১.৫ শতাংশ ভ্যাটের পরিবর্তে ০.৫ শতাংশ করার, বিভিন্ন সূতায় করহার কমানোর, আগাম কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে।
বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশন ছাপা কাগজ আমদানিতে সিডি ও আরডি মওকুফের সিদ্ধান্ত বাতিল করার, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক বিনাশুল্কে প্রাপ্যতার অতিরিক্ত কাগজ ও বোর্ড আমদানি কঠোর হস্তে দমন এবং খোলা বাজারে বিক্রি বন্ধে তদারকির ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছে।এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান বলেন, ভ্যাট আদায়ে প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতা করে না। তারা প্রকৃত তথ্য লুকায়, আমরাও চেপে ধরি। এভাবে চলতে পারে না। পোশাক খাত দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ কর সুবিধা পেয়ে আসছে। এখন তাদের রেগুলার রেটে আসা উচিত।
মিশিগান প্রতিদিন ডেস্ক 













