
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে অংশ নেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মো. মুশফিকুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা এবং হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সামছুল আলম সরকার ।
অভিযানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসের যাত্রী ও চালকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। এ সময় জেলা প্রশাসক খন্দকার মো. মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান চালকদের অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়ার অনুরোধ করেন। ভাড়া বেশি নিলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি, পাশাপাশি উল্টো পথে গাড়ি চলাচল, যত্রতত্র পার্কিং, খেয়াল খুশিমতো যাত্রী ওঠানামা না করানোর জন্যও অনুরোধ করেন তারা। এ সময় তারা যাত্রীদের খোঁজখবর নেন। জেলা প্রশাসক খন্দকার মো. মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান যাত্রীদের অনুরোধ করে বলেন, কেউ অতিরিক্ত ভাড়া চাইলে পুলিশকে কল দেবেন, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি দেবেন।
মহাসড়কে অভিযান শেষে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ মোহাম্মদ সামছুল আলম সরকার বলেন, যাত্রীদের ঈদযাত্রাকে হয়রানিমুক্ত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো যাত্রী যদি চলার পথে সমস্যার সম্মুখীন হন তবে আমার পুলিশ অ্যাপসের মাধ্যমে পুলিশের সহায়তা চাইতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ ৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে।
এ সময় কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। আজকে থেকে মহাসড়কে ৩৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। মোবাইল কোর্ট, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা আজকে থেকে মহাসড়কে কাজ শুরু করবেন।
পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, আজকে থেকে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কে জেলা পুলিশের ১৪টি পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন আছে। এ ছাড়াও কুমিল্লা- নোয়াখালী, কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কেও পুলিশ মোতায়েন আছে। মহাসড়কে রাতের বেলা যাত্রীদের চলাচলের কথা মাথায় রেখে জেলা পুলিশের ১৪টি মোবাইল টিম কাজ করবে। এছাড়াও হাইওয়ে পুলিশেরও মোটরসাইকেল পেট্রোল টিম থাকবে।