শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কেয়ামতের দিন যে সুপারিশ করবে রোজা ও কোরআন

রমজানের সঙ্গে কোরআনের সম্পর্ক খুবই নিবিড়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রমজান ওই মাস যে মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে, যা মানব জাতির জন্য পথপ্রদর্শক এবং (যাতে রয়েছে) সৎপথ পাওয়ার ও সত্যকে মিথ্যা থেকে পৃথক করার উত্তম উজ্জ্বল প্রমাণাদি।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)

তাই রমজান মাসে কোরআন তেলাওয়াত করা, তেলাওয়াত শোনা, কোরআনের চর্চা, হিফজ ইত্যাদি অনেক বড় নেক আমল। এর সওয়াব সীমাহীন। তাছাড়া কেয়ামতের দিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বান্দার জন্য সুপারিশ যখন খুব দরকার হবে, তখন বড় ভূমিকা রাখবে কোরআন ও রোজা।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘রোজা ও কোরআন কেয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে প্রতিপালক, আমি দিনের বেলা তাকে পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। কোরআন বলবে, হে প্রতিপালক, আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, এরপর তাদের উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৬৬২৬; মেশকাত: ১৯৬৩)

আরও পড়ুন: রোজা কোনো কাজে আসে না যাদের

এছাড়াও নির্দিষ্ট একটি সুরার সুপারিশের কথা এসেছে হাদিসে। সেটি হলো সুরা মুলক। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, কোরআনে ৩০ আয়াতবিশিষ্ট একটি সুরা রয়েছে, যা তার আমলকারীকে জান্নাতে প্রবেশ করানো পর্যন্ত তার পক্ষে ওকালতি করেছে, তার পক্ষে লড়েছে। তা হলো, সুরা তাবারাকা (সুরা মুলক)। (আলমুজামুল আওসাত, তবারানি: ৩৬৫৪)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলের রোজা কবুল করুন। রমজান মাসে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াতের তাওফিক দান করুন। সুরা মুলক তেলাওয়াতের তাওফিক দান করুন। আমিন।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

All Rights Reserved ©2024