শুক্রবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কোনো উস্কানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের

কোনো উস্কানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে জাতীয় ঐক্য রক্ষার মধ্য দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদাত বরণ করেছেন। তার এই শহীদি মৃত্যুতে সারা দেশে শোক, ক্ষোভ ও প্রতিবাদের আবহ সৃষ্টি হয়েছে।

জামায়াত আমির বলেন, সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনগণ মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কাছে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছে এবং একই সঙ্গে তার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার বিষয়টি নিয়ে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, শহীদ ওসমান হাদির শাহাদাতের পর দেশের ছাত্র-জনতার মধ্যে যে ক্ষোভ ও আবেগ সৃষ্টি হয়েছে, তা ন্যায্য ও বোধগম্য। কিন্তু এই ক্ষোভকে পুঁজি করে কোনো পক্ষ যদি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে, তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা স্পষ্টভাবে আশঙ্কা প্রকাশ করছি- এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা হতে পারে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং জনগণের কণ্ঠস্বর প্রকাশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, গণমাধ্যমের ওপর হামলা মানে গণতান্ত্রিক চর্চা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের ওপর আঘাত।

জামায়াত আমির বলেন, যে কোনো ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন শান্তিপুর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। নইলে মূল লক্ষ্য অর্জন ব্যর্থ হতে পারে।

তিনি বলেন, শহীদ ওসমান হাদির হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের এই সংকটময় সময়ে সংযম, দায়িত্বশীলতা ও জাতীয় ঐক্যই হতে পারে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই শহীদদের আত্মত্যাগের যথাযথ মর্যাদা রক্ষা করা সম্ভব। আমরা সব দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা ও নাগরিককে ধৈর্য, সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানাচ্ছি।

শেয়ার করুনঃ