শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গত এক বছরে নিউইয়র্ক ছেড়েছে ১ লাখ বাসিন্দা

গত বছর যে আটটি রাজ্য থেকে লোকজন অন্য স্থানে পাড়ি জমিয়েছে, তার অন্যতম ছিল নিউইয়র্ক। নতুন তথ্যে দেখা গেছে, এম্পায়ার স্টেট থেকে গত বছর এক লাখ দুই হাজার লোক অন্য স্থানে চলে গেছে।

ইউএস সেনসাস ব্যুরোর তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত ডেমোক্র্যাট-শাসিত নিউইয়র্ক এবং ক্যালিফোর্নিয়ার জনসংখ্যা যখন উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে, তখন রিপাবলিকান-শাসিত টেক্সাস ও ফ্লোরিডায় লোকজন ব্যাপক সংখ্যায় বেড়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ১ জুলাই নিউইয়র্কের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৯.৫৭ মিলিয়ন। অথচ মাত্র ১২ মাস আগে ছিল ১৯.৬৭ মিলিয়ন। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার অন্য স্থানে চলে যাওয়ার এটিই সবচেয়ে বড় ঘটনা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ জনবহুল রাজ্যটির জনসংখ্যা ০.৫ ভাগ কমেছে। জরিপে দেখা গেছে, ২০২০ সালের বসন্তে কোভিড ব্যাপকভাবে শুরু হওয়ার পর থেকে নিউইয়র্কের জনসংখ্যা ৬৩১,০০০ কমেছে। জনসংখ্যাবিষয়ক কর্নেলস প্রোগ্রামে নিয়োজিত গবেষক জ্যান ভিঙ্ক বলেন, কয়েক দশক ধরে নিউইয়র্কে যত লোক আসছে, তার চেয়ে বেশি লোক চলে যাচ্ছে।  ক্যালিফোর্নিয়া হলো জনসংখ্যা কমার দিক থেকে দ্বিতীয় রাজ্য। গত এক বছরে এই রাজ্যে লোক কমেছে প্রায় ৭৫,৫০০ জন। সবচেয়ে বেশি লোকজনের সমাগম হওয়া দুটি রাজ্য হলো টেক্সাস ও ফ্লোরিডা। এই দুই রাজ্যে লোক বেড়েছে যথাক্রমে ৪৭৩,৪৫৩ এবং ৩৬৫,২০৫ জন। এছাড়া নর্থ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া এবং সাউথ ক্যারোলিনাতেও জনসংখ্যা বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের যে ১১টি রাজ্যে গত বছর জনসংখ্যা বেড়েছে, তার একটি হলো নিউজার্সি। অথচ এক বছর আগেও এখানে জনসংখ্যা কমেছে। গত বছর এখানে ৩০ হাজার লোক এসেছে।

জনসংখ্যাবিদ ক্রিস্টি উইলডার এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন মহামারি-পূর্ব অবস্থায় ফিরছে। আর মৃত্যু কমায় জাতির প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘জন্ম কমলেও মৃত্যুও কমেছে প্রায় ৯ ভাগ। আর অভিবাসন বাড়তে থঅকায় ২০১৮ সালের পর যুক্তরাষ্ট্র বৃহত্তম জনসংখ্যা বৃদ্ধি দেখেছে।’

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

All Rights Reserved ©2024