বৃহস্পতিবার, ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গোসল ফরজ অবস্থায় সেহেরি খেলে রোজা হবে?

রমজান মাসে রোজা পালনের উদ্দেশ্যে সেহেরি খাওয়া সুন্নত। আলেমরা বলছেন, গোসল ফরজ হওয়ার পর খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য কাজের আগে পবিত্র হয়ে নেওয়া উত্তম। তবে জরুরি নয়। গোসল করা ছাড়াও খাওয়া যায়। কেউ যদি গোসল ফরজ অবস্থায় সেহেরি খায়, এতে তার রোজার ক্ষতি হবে না।

 

তবে দীর্ঘক্ষণ নাপাক থাকা ভালো নয়। গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও পবিত্রতা অর্জনে বিলম্ব করলে ফেরেশতারা ভর্ৎসনা করতে থাকেন। তাই উত্তম হলো- গোসল ফরজ হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পবিত্রতা অর্জন করা। কিন্তু যদি কেউ এমন অবস্থায় পড়েন যে, ফরজ গোসল করে সেহেরি খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই; তখন অজু করে বা হাত মুখ ধুয়ে আগে সেহরি খেয়ে নেবেন। পরে গোসল করে ফজরের নামাজ আদায় করবেন।সেহেরি খাওয়ার পরও গোসল না করলে এবং এ কারণে ফজরের নামাজ কাজা হয়ে গেলে কবিরা গুনাহ হবে। নামাজ নিয়ে অলসতা মোটেও উচিত নয়। বিশেষ করে রমজান মাসে। কেননা রমজানে ভালোকাজের যেমন সওয়াব বেশি, তেমনি খারাপ কাজেরও বেশি শাস্তির বর্ণনা পাওয়া যায়। তাই রমজানে নামাজ কাজা করা হবে অত্যন্ত জঘন্য একটি কাজ। হজরত আব্দুল্লাহ বিন শাকিক (রহ) বলেছেন, হুজুর পাক (স.)-এর সাহাবিগণ কোনো আমল ছেড়ে দেওয়াকে কুফরি মনে করতেন না শুধু নামাজ ব্যতীত। অর্থাৎ নামাজ ছেড়ে দেওয়াকে তারা কুফরির প্রায় নিকটবর্তী কাজ মনে করতেন। (সুনানে তিরমিজি: ২৬২২)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘আজানে ও প্রথম কাতারে কী (ফজিলত) রয়েছে, তা যদি লোকেরা জানত, কুরআহর মাধ্যমে বাছাই ব্যতীত এ সুযোগ লাভ করা যদি সম্ভব না হত, তাহলে অবশ্যই তারা কুরআহর মাধ্যমে ফায়সালা করত। জোহরের সালাত আউয়াল ওয়াক্তে আদায় করার মধ্যে কী (ফজিলত) রয়েছে, যদি তারা জানত, তাহলে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করত। আর এশা ও ফাজরের সালাত আদায়ের কী ফজিলত তা যদি জানত, তাহলে নিঃসন্দেহে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা হাজির হত। (সহিহ বুখারি: ৬১৫)

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

All Rights Reserved ©2024