সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গ্রেফতার দেখানো হলো ফখরুলকে, জামিন শুনানি বুধবার

রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় নাশকতার ৯ মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করে তা মঞ্জুর করেন। জামিন শুনানির জন্য বুধবার (১০ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে শুনানি উপলক্ষে তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সোয়া ১টায় মির্জা ফখরুলকে এজলাসে তোলা হয়।

মির্জা ফখরুলের পক্ষে আইনজীবী আসাদুজ্জামান, মহসিন মিয়া, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা, ওমর ফারুক ফারুকীসহ আরও অনেকেই শুনানি করেন।

শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুসহ তিন হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। স্বাধীন দেশেও এমন বিএনপির হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলামকে বহির্বিশ্ব ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে দেখে। অথচ তার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। স্বাধীন দেশে আমরা এমন কিছু প্রত্যাশা করি না।

তারা বলেন, ৯ মামলায় প্রত্যেকটিতে বলা হয়েছে গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে মির্জা ফখরুল নাকি নাশকতার উস্কানি দিয়েছেন। সারাবিশ্ব জানে বিএনপি ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম যদি আপস করতেন তাহলে ৭৬ বছর বয়সে এখানে (কারাগার থেকে আদালতে) আসতে হতো না। গ্রেফতারের পর তার ৫ কেজি ওজন কমে গেছে। তাকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্য হলো এক তরফা যেন ভোট করা যায়। তিনি হার্টের রোগী। মির্জা ফখরুলের জামিন দেন। অতীতে তিনি জামিন নিয়ে কোনো শর্ত ভঙ্গ করেননি। এবারও করবেন না।

আইনজীবীরা আরও বলেন, তিনি বাংলাদেশের একজন জাতীয় নেতা। তিনি সাবেক মন্ত্রী ছিলেন। রাজনীতিবিদদের বাঁচতে দিন। অন্য আসামিরা যেমন জামিন পাচ্ছে। তিনি অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক মানুষ। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ১০০টির মতো মামলা রয়েছে। তিনি নিয়মিত আদালতে আসেন মামলার হাজিরার দেন। তাকে জামিন দিলে তিনি আদালতের শর্ত মেনে হাজিরা দিবেন।

এরপর তারা অধিকতর জামিন শুনানি করার আবেদন করেন।

আদালত বুধবার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। এরপর মির্জা ফখরুলকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে মির্জা ফখরুলকে আদালতে হাজির করাকে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়

গত ১৩ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুলের এই ৯ মামলায় জামিন চেয়ে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আবেদন করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। পুলিশ তাকে এ মামলায় গ্রেফতার না দেখানোয় আদালত তার শুনানি গ্রহণ করেননি। এরপর তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট আইন অনুযায়ী জামিন শুনানি গ্রহণের নির্দেশ দেন।

গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

All Rights Reserved ©2024