শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

`চাঁদরাত’ ঘিরে বেড়েছে মাংসের দাম

আগামীকাল দেশজুড়ে উদযাপন করা হবে ঈদুল ফিতর। ঈদের দিন পাতে একটু ভালো খাবার রাখতে চায় সবাই। তাই শেষ রোজার দিন অধিকাংশ ক্রেতাই ভিড় করেছেন রাজধানীর মাংসের দোকানগুলোতে। এই সুযোগে সব ধরনের মাংসের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।বিক্রেতাদের দাবি, ঈদ উপলক্ষ্যে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গরু-ছাগল-মুরগির দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে মাংসের বাজারে।বুধবার (১০ এপ্রিল) মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের মাংসের দাম বাড়তি। হঠাৎ করে এ মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

 

টাউন হল বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, খাসির মাংস ১১০০ টাকায়। অথচ পুরো রোজার মাসজুড়ে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও খাসি ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।এছাড়া কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার ২৫০ টাকা টাকা, সোনালি ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ উপলক্ষ্যে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ও সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তাই দামও কিছুটা বেড়েছে। ঈদের পর আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

 

বিসমিল্লাহ মাংস বিতানের স্বত্বাধিকারী আবদুল গনি বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে দাম একটু বাড়তি। এছাড়া গরুর সরবরাহ এখন কমে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে দামে।

 

আরেক বিক্রেতা মো হানিফ বলেন, দাম খুব একটা বাড়েনি। আজ চাঁদরাত, কর্মচারীদের বেতন বকশিস দিতে হবে, তাই কিছুটা বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। ঈদের পর দাম আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।মাংসের এ মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। স্থানীয় ক্রেতা কবির আহমেদ বলেন, ঈদের দিন সবাই একটু মাংস খেতে চায়। তাই বলে দাম এত বাড়িয়ে দেবে? এমনিতেও তো মাংসের দাম বেশি, তার উপর আরও বাড়িয়ে দিলে কীভাবে হবে? এখন তো মাংস কেনাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

ক্রেতা হাফিজ মাহমুদ বলেন, চাঁদরাতের জন্য নাকি আজ দাম বাড়তি। তাদেরও তো বুঝতে হবে যে সবার হাতে টাকা থাকে না। এমনিতেই ঈদের কারণে অনেক বাড়তি খরচ হয়ে গেছে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

All Rights Reserved ©2024