সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘চিকিৎসকের কথা শুনলে হয়তো ২ ছেলেকেই হারাতাম’

‘সুস্থ সন্তানকে নিয়ে গেলাম, আর পেলাম মৃত অবস্থায়। চিকিৎসকের কথা মতোযদি দুই ছেলেকে নিয়ে যেতাম, তাহলে হয়তো দুইজনকেই হারাতাম।’

আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে এভাবেই বিলাপ করছিলেন সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে মারা যাওয়া মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিন আয়হামের বাবা ফখরুল আলম।

ফখরুল আলম বলেন, ‘১১ হাজার টাকা চুক্তিতে সুন্নতে খতনা করার জন্য মঙ্গলবার রাতে ছেলেকে ওই হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমি চিকিৎসককে আগেই বলেছিলাম- আপনাদের এখানে কোনো সমস্যা আছে কিনা। তারা বলেছিলেন কোনো সমস্যা নেই। আপনার দুই সন্তানকেই নিয়ে আসেন, এক সঙ্গে করে দেই। চিকিৎসকের কথা মতো যদি দুই ছেলেকে নিয়ে আসতাম, তাহলে হয়তো দুইজনকেই হারাতাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘অ্যানেসথেসিয়া দিতে নিষেধ করার পরও সেটি আমার ছেলের শরীরে পুশ করেছেন চিকিৎসক । আর এ কারণেই ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমার মতো যেন কোনো মা-বাবা চিকিৎসকদের ভুলের কারণে সন্তান না হারান।’

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আলেখারচর গ্রামের ফখরুল আলম ও খায়রুন নাহারের ছেলে আয়হাম।  দুই ছেলের মধ্যে আয়হাম ছিল বড়। বর্তমানে ২৯০/১,এ খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকত সে। তার ছোট ভাই অহিন আলম (৬) ফয়জুর রহমান আইডিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালে ছেলে আহনাফ আয়হামকে সুন্নতে খতনা করতে নিয়ে যান ফখরুল আলম। পরে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস এম মুক্তাদিরের নেতৃত্বে আয়হামকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান ডা. মাহাবুব ও ডা. ইশতিয়াক আজাদ। নিষেধ করা সত্ত্বেও তাহমিনকে অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে পুরো অজ্ঞান করা হয়। পরে হাসপাতালে আয়হামের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ফখরুল আলম বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারের দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

All Rights Reserved ©2024