বুধবার, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবির কবি মৌমি,রং তুলিতে আনন্দ যার

জুয়েল খানঃ এ যেন ছবির কবি, ছবি যেন কথা বলে তার।অবসরে নিজের আনন্দ বেদনার কাব্য রচনায় রং তুলিকেই আপন করে নিয়েছেন। তার ছবি আকাঁর ক্যানভাসটা যেন নারী,প্রকৃতি আর প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।

মনের মাধুরি দিয়ে তুলির আঁচড়ে জীবন্ত করে তুলেন তার শিল্পকর্মকে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি অভিবাসী অদিতি দেব মৌমি চলতি বছর নিজের সৃষ্টি দিয়ে মিশিগানের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী নির্বাচিত হয়েছেন।

অনন্য প্রতিভার অধিকারী এই চিত্রশিল্পীর চিত্রকর্ম যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আর্টস গ্যালারিতে স্থান করে নিয়েছে। প্রচারের আড়ালে থাকা প্রতিভাবান চিত্রশিল্পীর চিত্রকর্ম তার সফলতার গল্প।

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ওয়ারেন শহরের বাসিন্দা চিত্রশিল্পী অদিতি দেব মৌমি। শিশু কাল থেকেই রং তুলির সাথে সখ্যতা তার। পিতা অরবিন্দ দেব আর মা মিনতি চৌধুরীর উৎসাহে ছবি আকাঁর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন মৌমি।

সম সাময়িক বিষয়ের পাশাপাশি ছবির ক্যানভাসে বেছে নেন নারী,প্রকৃতি আর বাংলাদেশকে। তার অংকন ঘরটি যেন সৃষ্টির এক অনন্য ভান্ডার।জলরং পেন্সিল স্কেচ তৈলচিত্র্সহ চিত্রশিল্পের প্রতিটি মাধ্যমে সমান পারদর্শীতা রয়েছে মৌমির। এই চিত্রশিল্পীর ক্যানভাসে তুলির স্পর্শে জীবন্ত হয়ে উঠেছেন রবীন্দ্র,নজরুল, মাতার তেরেসাসহ দেশীবিদেশী অনেক বরেণ্য ব্যক্তিরা।

চলতি বছর জাতীয় পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪১ তম কংগ্রেসনাল আর্ট কম্পিটিশনে সারাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬ লক্ষ ৫০ হাজার প্রতিযোগি অংশ নেয় । ৫০ ষ্টেট থেকে পঞ্চাশ জন সেরা চিত্রশিল্পী নির্বাচিত হন তার মধ্যে মিশিগান থেকে সেরা চিত্রশিল্পী নির্বাচিত হন হ্যামট্রামিক পাবলিক হাই স্কুল থেকে অংশ নেয়া বাংলাদেশি মেয়ে অদিতি দেব মৌমি।

তার “থ্রি সিস্টার” চিত্রকর্মটি আমেরিকার জাতীয় আর্ট গ্যালারীতে স্থান পেয়েছে।ইতিমধ্যে মৌমির চিত্রকর্ম নিয়ে চিত্রপ্রদর্শনী হয়েছে ডেট্রয়েট আর্ট গ্যালারীতে। আর্ট গ্যালারীতে চিত্রপ্রদর্শনীকালে চিত্রকর্মবোদ্ধাদের বাছাই করা মৌমির অন্যতম সেরা দুটি চিত্রকর্ম ডেট্রয়েট মিউজিয়ামে স্থান পেয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকেও সরব রয়েছেন গুণী এই শিল্পী। চিত্রকর্ম বিষয়ক পেইজ “artology – চিত্রবিদ্যা“ নামে ফেইসবুক পেইজে গুণী এই চিত্রশিল্পী ও তার শিল্পকর্মকে অনুসরণ করে থাকেন হাজার হাজার অনুসারী।

অনেকে পছন্দের চিত্রকর্ম ক্রয় করে থাকেন অনলাইন থেকে।
বাংলাদেশের সিলেট শহরের শিবগঞ্জ সেনপাড়ার বাসিন্দা অদিতি দেব মৌমির পরিবার ২০১৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন।

মৌমির গর্বিত পিতা সিলেট সিটি কর্পোরেশন সাবেক প্রকৌশলী অববিন্দ দেব। মৌমি বর্তমানে ইউনির্ভাসিটি অব মিশিগানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে লেখাপড়া করছেন।

চিত্রশিল্পে নিজের সফলতার কথা বলতে গিয়ে অদিতি দেব মৌমি বলে, শিশুকালে যেখানে শিশুরা খেলনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে সে বয়সে আমি রং পেন্সিল নিয়ে আকাঁআকিঁ করতাম।

শিশুকালে আমার চিত্রাংকনের পেছনে যার সবচেয়ে বেশী অবদান তিনি হচ্ছেন আমার শিক্ষক সত্যজিৎ চক্রবর্তী । আমার ছবি আকাঁর মূলভিত্তিটা তিনি তৈরি করে দিয়েছেন।

এছাড়া আমার প্রয়াত শিক্ষক অরবিন্দ দাশ গুপ্ত যার সংস্পর্শে আমার রং তুলির ক্যানভাসটা পরিপূর্ণতা পায়,আমি আরো পরিপূর্ণ হয়ে উঠি।।যুক্তরাষ্ট্রের উদীয়মান চিত্রশিল্পী অদিতি দেব মৌমি চিত্রশিল্পর মাধ্যমে বাংলাদেশকে বর্হিবিশ্বে তুলে ধরতে চায়।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

All Rights Reserved ©2024