
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীত্রের সাবেক নেত্রী মৌমিতা রহমান ঈস্পিতাকে আইন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত ৫ মে গণমাধ্যমে ‘মুগ্ধর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পায়।
প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। অবশেষে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিইউপি কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ‘নিয়োগের সময় মৌমিতা রহমান ঈস্পিতার নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কোনো তথ্য বিইউপির কাছে ছিল না।’
গত ৭ মে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি আইন বিভাগের প্রভাষক পদে একজন শিক্ষকের নিয়োগকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে মানহানিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপব্যাখ্যা ও অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন এবং দুঃখজনক। বিইউপি সবসময় মেধা, যোগ্যতা, পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষক নিয়োগে সংশিষ্ট প্রার্থীকে দুই বছরের জন্য শিক্ষানবিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এ সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আচরণগত, আইনগত ও নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করা হয়। এ ধাপটি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ স্থায়ীভাবে কার্যকর হয় না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচিত শিক্ষকের কর্মকাণ্ড ও নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে বিইউপির কাছে আগে কোনো তথ্য ছিল না। অভিযোগটি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির অভিমতের ভিত্তিতে বিইউপির প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত মৌমিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি ২০২২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদে ছিলেন। তার বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান ছিলেন।
এদিকে ঢাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় বিইউপির শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিইউপি ক্যাম্পাসে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। ফেসবুকে এনসিপি নেতাসহ বিইউপির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।