শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জামাতে তাহাজ্জুদ পড়া যাবে?

তাহাজ্জুদ জামাতে পড়ার নামাজ নয়। এটি ঘরে একাকী পড়ার নামাজ। যে কারণে তাহাজ্জুদসহ অন্যান্য সুন্নত ও নফল নামাজে আজান-ইকামত এবং জামাতের আয়োজনের বিধান নেই। রাসুলুল্লাহ (স.), খোলাফায়ে রাশেদীন ও সাহাবায়ে কেরামের সাধারণ আমল ছিল—তাঁরা তাহাজ্জুদ ও নফল ঘরে একাকী আদায় করতেন।

 

হাদিস ও সিরাতের বর্ণনানুযায়ী, নবীযুগে একটি বা দুটি ঘটনাই এমন পাওয়া যায় যে, নবী কারিম (স.) তাহাজ্জুদের নামাজ শুরু করার পর কোনো সাহাবি এসে তাঁর পেছনে নিয়ত করেছেন (ফলে ঘটনাচক্রে জামাত হয়ে গিয়েছিল)। এছাড়া তাহাজ্জুদের জামাতের অন্যকোনো দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না।তাই ফিকহে হানাফির ফতোয়া হলো- তাহাজ্জুদের নামাজ রোজার মাসে পড়া হোক কিংবা অন্য মাসে, একাকী পড়াই উচিত। জামাতের সাথে তাহাজ্জুদ পড়া ঠিক নয়। তবে কেউ যদি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া কোনো ব্যক্তির পেছনে ইক্তেদা করে ফেলে তাহলে সেটা ভিন্ন কথা। কারণ এরকম দৃষ্টান্ত যেহেতু সিরাতে দেখা যাচ্ছে, তাই এটিকে নাজায়েজ বা হারাম বলার সুযোগ নেই। কিন্তু এটাকে নিয়ম বানিয়ে ফেলা সুন্নত পরিপন্থী কাজ হবে।

 

কেননা নবীজি (স.)-এর বিভিন্ন হাদিসে নফল নামাজ জামাত ছাড়া একাকী ঘরে পড়ার কথা বলা হয়েছে। এক হাদিসে হজরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা.) বলেন, নবী কারিম (স.) বলেছেন, ‘হে লোকসকল! তোমরা ঘরে নামাজ আদায় করো, ঘরকে কবর বানিও না।’ (সহিহ মুসলিম: ১/২৬৫)অপর এক হাদিসে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সাদ (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে ঘরে নামাজ পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, আমার ঘর মসজিদের কত নিকটে তারপরও আমি ঘরে নামাজ পড়তে ভালবাসি। তবে ফরজ নামাজ মসজিদে পড়ি।’ (শামায়েলে তিরমিজি: ২০)

 

পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ, জুমা ও দুই ঈদের নামাজ জামাতে আদায় করা ইসলামের শিআর (নিদর্শন)। এছাড়া তারাবি, রমজানে বিতির, ইস্তিসকা ও সূর্যগ্রহণের নামাজ জামাতে আদায় করা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত ও সুন্নত। বাকি সুন্নত বা নফল নামাজ একাকী পড়াই বাঞ্ছনীয়।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

All Rights Reserved ©2024