
কবিঃ মকবুল হোসেন জাভেদ
তোমার উত্থানের শুরুতে উষ্ম করতে আমার অজস্র দেনা,
আর এখন তুমি উত্তপ্ত তাই উল্টো সবাই দেয়।
তোমার বিবর্ণ কর্কট স্বর সুরে আনতে
আমার সহস্র বাজি,
আজ তুমি সুরে উতলা তাই অতিথি পাখিরা সারিন্দা বাজাতে
তোমার বারান্দায় লম্বা লাইন ।
তোমার রক্তহীন চূর্ণ চক্ষু ঢাকতে
আমার পরিশ্রান্ত পর্দার আবরণ
তাই তুমি কালো চশমায় মোড়ানো আজ বেশ মানবিক
এখন অভুক্ত ভিখারী থেকে নবাবজাদারা তোমার প্রশংসায় পঞ্চমূখ।
তোমার চৈত্র মাসের ফাটা কপালে
প্রলেপ লাগাতে লাগাতে বৈশাখ আসন্ন,
আজ তুমি জৈষ্ঠ্যের পাকা ফল,আষাড়ের বৃষ্টিস্নাত কদম,শ্রাবনের ঘ্রান
তাই তোমার গন্ধমোহে আজ সবাই মৃয়মান।
তোমার ভাটা পড়া অতীতে
জোয়ার আনতে কত আমাবশ্যা নির্ঘুম,
তাই জোয়ারে ভাসা তোমার উঠোনে
আজ থৈ থৈ কলতান ।
একবার বৈশাখী ঝড়,চৈত্রের খরা বা গ্রীষ্মের উষ্ণতায় ভাটা পড়ুক,
সুর ও থাকবে না,কদম ও ফুটবে না
সবই হবে পূর্বের ন্যায় অচেনা অদম।
এটাই সময়ের প্রার্থক্য,
যুগের বিবর্তন।