শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টেক্সাসের গর্ভপাতবিরোধী আইন নিয়ে হুলুস্থুল

টেক্সাসের গর্ভপাতবিরোধী আইনের বিরুদ্ধে মামলা করল মার্কিন বিচার বিভাগ। প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট আগেই এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। স্বয়ং মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মামলাটি লড়ছেন। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) এসব জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার করেছেন বাইডেন। ছয় সপ্তাহের বেশি গর্ভধারণের ক্ষেত্রে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে আইনটিতে। বাইডেন বলেছেন, এই আইন চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

ওই আইন যাতে বাস্তবায়িত না হয়, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। দেশের আইনবিভাগ বা জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট টেক্সাসের ওই আইনটির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে।

মেয়েদের নিজের শরীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আছে। মার্কিন আইন এবং সংবিধান সেই অধিকার দেয়। টেক্সাসের গর্ভপাতবিরোধী আইনের সমালোচনা করতে গিয়ে এই ভাষায় কথা বলেছেন কমলা হ্যারিস। তিনি বলেন, এই আইন সংবিধানবিরোধী। নারীর অধিকার খর্ব করছে এই আইন। দেশের একেকটি রাজ্য একেক রকম ভাবে এধরনের আইন তৈরি করতে পারে না। সে কারণেই মামলা করা হয়েছে।প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও আইনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, আইনটি অমার্কিনি।

আইনের ব্যাখ্যায় আদালত জানিয়েছে, সম্প্রতি চিকিৎসকদের একটি দল এক পরীক্ষা চালায়। তাতে দেখা যায়, ছয় সপ্তাহের মাথাতেই ভ্রূণের হার্ট সচল হয়ে যায়। যারা গর্ভপাত করাতে চান, ছয় সপ্তাহের মধ্যে তারা অধিকাংশ সময় বুঝতেও পারেন না যে তারা গর্ভবতী। সে কারণেই গর্ভপাত কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেছেন, এই আইনটি স্পষ্টতই অসাংবিধানিক।কোনো রাজ্য সংবিধানের মূল ভাবনা থেকে সরে গিয়ে আইন জারি করতে পারে না। মার্কিন সংবিধান দেশের মানুষের অধিকারের বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত স্পর্শকাতর।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

All Rights Reserved ©2024