টেস্টে ব্যাটিং অর্ডার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চান না শান্ত
নভেম্বর ২৭, ২০২৩
,
১২:৪৩ অপরাহ্ণ
170
ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষে আবারও শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ। সিরিজের প্রথম টেস্টে মাঠে নামতে প্রস্তুত দুইদল। বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান খেলছেন না এই সিরিজে। আঙ্গুলের চোট ও রাজনীতির মাঠ নিয়ে এখন ব্যস্ত বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। তাকে ছাড়া টাইগাররা খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে। কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখানে টেস্টে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পক্ষে নন তিনি।
টাইগার অধিনায়ক টেস্টে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার সম্ভাবনা নিয়ে বলেন, ‘আমার মনে হয়, টেস্ট ক্রিকেটে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় না। ব্যাটিং অর্ডার বা কোন সময় কে বোলিং করবে, সেটা নিয়ে মনে হয় না খুব বেশি অদলবদল হবে। আমি আশা করব, এই জিনিসগুলা একই রকম থাকবে। যে অধিনায়ক হোক বা যারা কোচিং স্টাফ আছে, তারা মনে হয়, এই বিষয় নিয়ে খুবই অবগত আছেন। আমার মনে হয় না খুব বেশি পরিবর্তন হবে।’
শান্ত আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, টপ অর্ডারে জাকির-জয়-সাদমান- সৌরভ ভাই উনারা আছেন। সঙ্গে আমি আছি একটা ম্যাচ খেলেছি। তারা তো এনসিএলে খেলেছেন, বিশ্বকাপে ছিলেন না। আমার মনে হয় তাদের খুব ভালো প্রস্তুতি হয়েছে, সবাই মোটামুটি রানের মধ্যে ছিল। এটা একটা দিক যে তাদের বিশ্বকাপের সঙ্গে কোনো মিল নেই। আমাদের (বাকিদের) কথা যদি বলেন, (বিশ্বকাপে) আমাদের অবশ্যই খারাপ সময় গেছে। তবে সেটা ওয়ানডে ফরম্যাট ছিল, এটা টেস্ট ফরম্যাট।’
সাকিবের অনুপস্থিতিতে টেস্টে প্রথমবার বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এর আগে তিনটি ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তার। কিন্তু টেস্টে এবারই প্রথম। শান্তর জন্য যা চ্যালেঞ্জিং। এর অন্যতম কারণ, দলে অধিকাংশই নতুন ক্রিকেটার। অপরদিকে বাংলাদেশের জন্য এই সিরিজ গুরুত্ব রাখছে আরও একটি কারণে।
কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে (২০২৩-২৫) এটিই বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ। তাই সতর্ক থাকতে হবে প্রতিটি ম্যাচেই। দিতে হবে সামর্থ্যের সেরাটা। এই সিরিজ ও টেস্ট চক্রে বাংলাদেশের সামনের দিনগুলো নিয়ে আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন অধিনায়ক শান্ত।
শান্ত বলেন, ‘আমাদের টেস্ট ম্যাচগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সামনে অলমোস্ট ১৪টা টেস্ট খেলব। এ বছর দুইটা। আগামী বছর আরও ১২টা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ম্যাচগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে দেশের মাটিতে যেসব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, সেগুলোতে কীভাবে জিতবে পারি, দল হিসেবে এটিই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। এরপর বাইরের মাঠে কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি, তা আমাদের শক্তিমত্তার জানান দেবে। দল হিসেবে আমরা কেমন করতে পারি, সেটি প্রমাণিত হবে।’