শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাসেবায় ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্টদের ভাতা প্রদান এবং ‘স্মার্ট হেলথ কেয়ার ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের চিকিৎসাসেবাসহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অতীতের তুলনায় অনেক  উন্নত হয়েছে। দেশের রোগীদের চিকিৎসাসেবায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মানুষের ভরসার শেষ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। এখানে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট, লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট, টেস্টটিউব বেবির জন্মদান, জোড়া শিশুর আলাদা করাসহ জটিল জটিল রোগের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। কোটি টাকার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৩ লাখ টাকায় দেয়া হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজও চিকিৎসাসেবায় সুনাম অর্জন করেছে।

মন্ত্রী বলেন, যদিও গত ৫ বছর ডেঙ্গু মোকাবিলায়, করোনা মোকাবিলায় কেটে গেছে তারপরেও সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় অনেক উন্নত দেশকে পেছনে ফেলে এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে বাংলাদেশ পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। ইপিআই কর্মসূচিতে সাফল্যের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কারের ভূষিত হয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবায় সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের একমাত্র কালাজ্বর মুক্ত দেশের মর্যাদা লাভ করেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে জেলাগুলোতে শতাধিক ও উপজেলা গুলোতে পাঁচ শতাধিকসহ সর্বমোট ৬ শতাধিক হাসপাতালে চিকিৎসকদেরকেই সাধারণ মানুষকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ আমরা সবাই জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলি সেই কথা যেনো ভুলে না যাই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক  ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু তার শাসন আমলের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই প্রায় ৪ শতটি হেলথ কমপ্লেক্স চালু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে এই প্রতিষ্ঠানে রক্ত পরিঞ্চালন কেন্দ্র চালুর সময় রক্ত নিয়ে গবেষণার কথা বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও গবেষণার উপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিং, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নির্ণয়ক এন্টিবডি নির্ধারণ, বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের মান ও ক্ষতিকর উপাদান চিহ্নিত করাসহ শত শত গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেও দেশেই চিকিৎসাসেবা নিতে পছন্দ করেন। আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের রোগীরা যাতে চিকিৎসাসেবার জন্য দেশের বাইরে না যায়। সে লক্ষ্য পূরণে দেশেই সকল ধরণের জটিল চিকিৎসা স্বল্প ব্যয়ে নিশ্চিত করার কাজ চলছে। তবে এ লক্ষ্য পূরণে অবশ্যই প্রয়োজনে দক্ষ জনবল সুনিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্নের কথা বলেন না, তিনি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে জানেন। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। স্মার্ট হেলথ কেয়ারসহ স্মার্ট বাংলাদেশও তার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হবে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

All Rights Reserved ©2024