বুধবার, ২রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নবান্ন উৎসবকে জাতীয় উৎসবে রূপান্তর করা হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা ডেস্কঃ সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ঋতুভিত্তিক উৎসবগুলো অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জাতীয় ভিত্তিতে সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একই দিনে নবান্ন উৎসব আয়োজনের বিষয়ে তিনি উদ্যোগ নেবেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ আয়োজিত ‘২৫তম নবান্ন উৎসব ১৪৩০’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কে এম খালিদ বলেন, ‘একসময় ‘নবান্ন’ ছিল গ্রামবাংলার অন্যতম প্রধান উৎসব। অগ্রহায়ণ মাসে নতুন ধান কাটার পর বাংলার কৃষকগণ নবান্ন উৎসবে মেতে উঠতেন। ঘরে ঘরে পিঠা-পুলি তৈরির ধুম পড়ে যেত। যদিও নগরায়নের যান্ত্রিকতায় এ ধারায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে কালের পরিক্রমায় নবান্ন উৎসব গ্রাম থেকে শহরে প্রবেশ করেছে।

জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ গত ২৫ বছর ধরে রাজধানী ঢাকায় নিয়মিত এ উৎসব উদযাপন করে আসছে। সেজন্য তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

সভাপতির বক্তব্যে উদ্‌যাপন পর্ষদের সভাপতি লায়লা হাসান বলেন, শহরের নতুন প্রজন্মের কাছে দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পরিচয় তুলে ধরতেই তাঁরা এই উৎসব আয়োজন করে আসছেন। এই উৎসবগুলো মানুষে মানুষে মানবিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। স্বাগত বক্তব্য দেন উদ্‌যাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান। সঞ্চালনা করেন সহসভাপতি সঙ্গীতা ইমাম।

অনুষ্ঠানে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, পঞ্চায়েত, সুরনন্দন ও ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের নৃত্যতরী সাংস্কৃতিক সংগঠন। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে স্পন্দন, ভাবনা, কথক, নান্দনিক, নৃত্যম, রেওয়াজ পারফর্মিং আর্ট, কালার্স অফ হিল, সৃষ্টিশীল একাডেমি ও নৃত্য বৃত্তি নৃত্য সংগঠন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে শিশু সংগঠন তারার মেলা ও নন্দনকুড়ি। তাছাড়া অনুষ্ঠানের দেশের খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী ও নৃত্যশিল্পীগণ যথাক্রমে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০