
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডামি প্রার্থীর পর ডামি পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকালে কাজির দেউড়ি মোড়ে লিফলেট বিতরণের সময় তিনি এ অভিযোগ করেন।
সরকার ডামি পর্যবেক্ষক দিয়ে নির্বাচনকে বৈধতা দিতে চাইলেও জনগণ নির্বাচন প্রত্যখ্যান করেছে উল্লেখ করে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নজিরবিহীন জালিয়াতি ও কারচুপির আশ্রয় নিয়েছে সরকার। এ ডামি নির্বাচনে ডামি পর্যবেক্ষক দিয়ে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বৈধতা দেওয়ার সাফাই গাইলেও জনগণ নির্বাচন প্রত্যখ্যান করেছে।’
‘এ ডামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীর পর ডামি পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করেছে সরকার। নির্বাচনে পর্যবেক্ষক নিয়ে সরকারের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা।’
আওয়ামী লীগ রাস্তায় ভিক্ষা করা মানুষকে গোসল করিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষক সাজিয়ে নিয়ে এসেছে অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘ওইদেশ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচনে তারা কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। রাস্তায় ভিক্ষা করা মানুষকে গোসল করিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষক সাজিয়ে নিয়ে এসেছে সরকার।’
‘বিদেশের কিছু হিপ্পি, ড্রাগ নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় শুয়ে থাকা কতগুলো মানুষকে নির্বাচনের পর্যবেক্ষক সাজিয়েছে। তাদের টাকা দিয়ে ভাড়া করে এনে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। অর্থাৎ এ নির্বাচন হচ্ছে ডামি, প্রার্থী ডামি, পর্যবেক্ষকও ডামি, সব ভুয়া।’
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জনগণ বিশ্বাস করে একদলীয় বাকশালী সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এখানে যেটা হয়েছে, সেটা ভোট ডাকাতি আর ভোট নিয়ন্ত্রণ। চট্টগ্রামে ৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি কিন্তু সেটাকে ৪০ শতাংশ দেখানো হয়েছে।’
‘এ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী বিজয়ী আর পরাজিত সেটা ছিল পূর্বনির্ধারিত। সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ২০২৪ সালের নির্বাচনেও এদেশের মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা মানুষের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করছি।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, নগর সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন ও ওআবদুল মান্নানসহ আরও অনেকে।