শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নৌকা ডোবাতে মরিয়া ঈগল

হবিগঞ্জ-২ (আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং) আসনে ভোটের লড়াই জমে উঠছে।এ লড়াই জমিয়ে তুলেছেন আওয়ামী লীগেরই দুই প্রার্থী। একজন হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল। তিনি লড়ছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। অপরজন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান। নৌকার মাঝি হতে না পেরে তিনি স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছেন। তাঁর প্রতীক ঈগল। ঈগল প্রতীক নিয়েই নৌকার মাঝিকে বধ করতে প্রচারে নেমেছেন তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছে আরও সাতপ্রার্থী। তারা হলেন জাতীয় পার্টির শংকর পাল (লাঙল), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অ্যাডভোকেট মনমোহন দেবনাথ (গামছা), ইসলামী ঐক্যজোটের শেখ হিফজুর রহমান (মিনার), তৃণমূল বিএনপির খায়রুল আলম (সোনালী আঁশ), বিএনএমের এসএএম সোহাগ (নোঙর), ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহম্মদ আবদুল হামিদ (চেয়ার) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. জিয়াউর রশীদ (ডাব)।

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে দুই উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পোস্টার, ব্যানার, টাঙানোসহ গণসংযোগ, মিছিল, লিফলেট বিতরণ, আলোচনা ও মতবিনিময়সভাসহ নানা কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে প্রার্থীদের। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে রোজই উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ছুটছেন তারা। তুলে ধরছেন নির্বাচনী এলাকা নিয়ে নিজেদের নানা পরিকল্পনা।

স্থানীয়দের ভাষ্য, বানিয়াচং সদর ও আজমিরীগঞ্জ সদরে প্রচার থাকলেও গ্রাম ও পাড়া-মহল্লায় খুবই কম দেখা যাচ্ছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর এই আসনটিতে ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির সিরাজুল ইসলাম খান (লাঙল) নির্বাচিত হয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাকি প্রায় সবকটি নির্বাচনে এখানে আওয়ামী লীগের জয়জয়কার। উপজেলার সাধারণ ভোটাররা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত অংশগ্রহণ না করায় এই আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল (নৌকা) এবং টানা তিনবারের সাংসদ ও বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খানের (ঈগল) মধ্যে।

আ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েলের বাবা মরহুম অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন আহমেদ এই আসনের দুবারের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

অন্যদিকে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান এই আসনের টানা তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি আজমিরীগঞ্জে বানিয়াচং শরিফ উদ্দিন সড়ক, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তাই তার নিজস্ব ভোটব্যাংকও রয়েছে।

এই দুজনের বাইরে জাতীয় পার্টির শংকর পাল (লাঙল) পরিচিত মুখ হলেও অন্য দলের কোনো প্রার্থীকে ভোটের মাঠে তেমন কোনো প্রচারে দেখা যাচ্ছে না।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ২০ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৩৪। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৬ হাজার ১৪৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮২ হাজার ১৮৮ জন। ১৫০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টি বানিয়াচংয়ে ও ৪৪টি আজমিরীগঞ্জ উপজেলায়। মোট ভোটকক্ষ ৭৯৮টি।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

All Rights Reserved ©2024