বৃহস্পতিবার, ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রস্তুত থাকিস’, কাফনের কাপড় পাঠিয়ে চিঠি দিয়ে হুমকি

খুলনায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারী-কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কাফনের কাপড় স্টাপলার করা ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে ‘প্রস্তুত থাকিস’।রোববার (২৪ মার্চ) বিকেলে খুলনা সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ১২ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী পৃথক পৃথক খামে সুন্দরবন কুরিয়র সার্ভিসের মাধ্যমে ওই চিঠি হাতে পেয়েছেন। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ওই কলেজের চিফ ইনস্ট্রাক্টর মো. রিয়াজ শরীফ নগরীর আড়ংঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

 

চিঠির মাধ্যমে হুমকি পাওয়া শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন— কলেজের চিফ ইনস্ট্রাক্টর মো. রিয়াজ শরীফ, ইনস্ট্রাক্টর সৈয়দ মো. কামাল উদ্দিন, ইনস্ট্রাক্টর মো. মাসুদুল ইসলাম, ইনস্ট্রাক্টর মো. মাহাবুবুর রহমান, ইনস্ট্রাক্টর মো. জোবায়দুর রহমান, ইনস্ট্রাক্টর মো. মরুফ আহমেদ, ইনস্ট্রাক্টর মো. আব্দুল হামিদ, ইনস্ট্রাক্টর মো. হযরত আলী বুলেট, ইনস্ট্রাক্টর উন্মেহাবিবা ইসলাম, ইনস্ট্রাক্টর পলক কুমার বিশ্বাস, অফিস সহকারী মো. মনিরুল হক তালুকদার (রাজ), ড্রাইভার মো. আমিনুর সরদার।কলেজের অফিস সহকারী মো. মনিরুল হক তালুকদার (রাজ) জানান, এই চিঠি পাওয়ার পর আমরা সবাই ভীত ও আতঙ্কিত।আড়ংঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে হুমকি প্রদান করা হয়েছে। চিঠিতে লেখা ছিল ‘প্রস্তুত থাকিস’। আর কিছুই লেখা নেই। সঙ্গে স্টাপলার করে সাদা কাপড়ের টুকরা দেওয়া হয়েছে, যেটা কাফনের কাপড় বোঝাতে চেয়েছে। এটি ভীতি প্রদর্শনের জন্য করা হয়েছে। এ বিষয়ে কলেজের চিফ ইনস্ট্রাক্টর মো. রিয়াজ শরীফ সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে শিক্ষকদের বিরোধ চলে আসছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। যে কুরিয়ার সার্ভিসে এসেছে আমরা তদন্ত করছি। এ ঘটনার সাথে জড়িত দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে কলেজের চিফ ইনস্ট্রাক্টর মো: রিয়াজ শরীফ অভিযোগ করেন, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তিনিসহ মোট ১২ জনের কাছে ফুলবাড়ীগেট সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে চিঠি আসার খবর দেওয়া হয়। চিঠি সংগ্রহ খুলে তারা দেখতে পান প্রত্যেকের চিঠিতে একটি সাদা কাগজে কলম দিয়ে লেখা ‘প্রস্তুত থাকিস’। একইসঙ্গে প্রত্যেক চিঠিতে সাদা কাপড়ের একটি টুকরো স্টাপলার মেশিন দিয়ে পিনআপ করা।

 

প্রতিটিতে চিঠির খামে প্রেরকের স্থানে খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, লোন বিভাগ, সিটি ব্যাংক এনএ, ১০৯ গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকা ১২১২ এই ঠিকানা উল্লেখ করা আছে। সেখানে একটি মোবাইল নম্বরও উল্লেখ করা আছে।

রিয়াজ শরীফ ওই জিডিতে আরও উল্লেখ করেন, এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অফিসের অধিকাংশ সবাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। সেই সূত্র ধরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মারুফ আহমদকে (ইন্সট্রাক্টর) অজ্ঞাত নামা লোক দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর আহত করানো হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি মারুফ আহমদ (ইন্সট্রাক্টর) কাজী বরকতুল ইসলামকে সন্দেহপূর্বক বিবাদী করে আড়ংঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

All Rights Reserved ©2024