
কিম জং উন দীর্ঘদিন পর জনসমক্ষে এসেছেন। তবে এবার একদম অন্য চেহারের। আগের মত মেদ বহুল চেহারা আর নেই তার। বদলেছে তার চুলের ধরনও। কিমের চেহারার এই পরিবর্তন দেখে অবাক অনেকে। পিয়ংইয়ংয়ের কিম উল সাং স্কোয়ার বৃহস্পতিবার ভোররাতে বেশ সরগরম ছিল। উড়ছে যুদ্ধবিমান, রাস্তায় সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজ। চলছে যুদ্ধাস্ত্রের প্রদর্শনী। দর্শকও নেহাত কম নয়। তবে সবকিছু ছাড়িয়ে নজর কেড়েছে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের নতুন লুক। সামরিক শক্তি দেখানোর অনুষ্ঠানে বাদামী রংয়ের স্যুট পরে কিম জং উনকে বেশ অন্যরকম দেখা গেল। মেদ ঝরিয়ে রীতিমত ঝরঝরে তিনি। তিনি ব্যাপকভাবে হেসেছেন, হাত নেড়েছেন এবং ফুল উপহার দেওয়া শিশুদের চুম্বন করেছেন। দেখতে অনেকটা তার দাদা তথা উত্তর কোরিয়ার প্রাতিষ্ঠাতা কিম ইল সুং-এর মতোই লাগছিল। জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এক সাংসদ জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে প্রায় ২০ কেজি ওজন কমিয়েছেন কিম। তার পর প্রথম বার দেখা গেল তাকে। অনুষ্ঠানে কিমের চুলেক ছাঁটও নজর কেড়েছে। গতবছর অক্টোবরে সামরিক প্যারেডে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল দেখিয়েছিলেন কিম। দুই বছরের মধ্যে প্রথমবার দূর পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্রের প্রদর্শন করা হয়। সেখানে সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালেস্টিক মিসাইলের প্রদর্শন করা হয়। সরকারি সংবাদসংস্থার দাবি ছিল, এটা হলো বিশ্বের সব চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র।আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে জো বাইডেন শপথ নেওয়ার পর এটাই ছিল উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর প্রথম অনুষ্ঠান। পিয়ং ইয়ংয়ের কিম ২ সাং স্কোয়ারের অনুষ্ঠানে কিমকে দেখা গিয়েছে হালকা রঙের স্যুট পরে বাহিনীর উদ্দেশে হাত নাড়ছেন। তবে এ দিন কোনও বক্তৃতা দেননি তিনি। কিমের স্বাস্থ্য জল্পনার একটি সাধারণ বিষয়। ২০১৪ সালে তিনি প্রায় ৬ সপ্তাহ দৃশ্যের বাইরে চলে যান। এরপর তাকে লাঠি হাতে হাঁটতে দেখা যায়। এর কয়েকদিন পর দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেন, গোড়ালি থেকে ফোঁড়া অপসারণে কিমের সার্জারি করা হয়েছে। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, কিম জং উনের ওজন ১৪০ কেজি। ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা গ্রহণের পর তার ওজন প্রতি বছর গড়ে ৬-৭ পাউন্ড বেড়েছে।