
শরীরের অসুখে সবাই উদ্বিগ্ন হলেও মনের অসুখকে পাত্তা দেন না অনেকেই। দীর্ঘদিন মানসিক চাপ নিয়ে দিন কাটাতে গিয়ে অনেকেই মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পরেন, কিংবা আত্মহননকারী হয়ে ওঠেন।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বন্ধুত্ব মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটালে তাত্ক্ষণিকভাবে অ্যানার্জি বেড়ে যায়।
এ বিষয়ে নিউইয়র্কের থেরাপিস্ট জিয়ানা লালোটা লিখেছেন, “বন্ধুত্ব কেবল আমাদের একাকীত্ব এবং বিচ্ছিন্নতা থেকে রক্ষা করে না, আমাদের আত্মসম্মান, আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়।”
বন্ধুরা যেভাবে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে
– বিপদে পড়লে আমরা যাদের কাছে যাই, তারাই আসল বন্ধু। ফলে তাদের কারণে আমাদের মানসিক চাপ কম থাকে। এছাড়াও বন্ধুরা জীবনের সুখ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
– মানুষ সামাজিক জীব। বন্ধুদের আশেপাশে থাকলে আমাদের একাকীত্ব দূর হয় এবং সামাজিক হতে সহায়তা করে।
– কঠিন সময়ে বন্ধুরা পাশে থাকলে পরিস্থিতিগুলো আরও ভালোভাবে মোকাবিলা কড়া যায়। ফলে নিজেকে আরও ভালো মানুষ হিসাবে তৈরি করা যায়।
– নিজের সাফল্যগুলোকে আরও বড় দেখায় যখন আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা আমাদের উত্সাহিত করে এবং তারা আমাদের সাফল্যগুলো উদযাপন করে।
– বন্ধুত্ব তৈরি হলে আমাদের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই সহজ হয়। এটি নিজের প্রতি বিশ্বাস তৈরি করে। কমে যায় হতাশা কিংবা বিষণ্নতার উপসর্গও।
২০১৮ সালে বন্ধুত্বের ওপর একটি গবেষণা করা হয়েছিল। যেখানে দেখা যায়, বন্ধুকে জড়িয়ে ধরলেই দুশ্চিন্তা ও অ্যাংজাইটি অনেকটা কমে যায়।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২৭% মানুষ যাদের জীবনে ভালো বন্ধু ছিল, তাদের জীবনে অ্যাংজাইটি কম। তাই জীবনে ভালো থাকতে হলে বন্ধুত্ব করা জরুরি।