
অতিবৃষ্টি ও হ্যারিকেন আইডার প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, নিউজার্সি ও পেনসিলভেনিয়াসহ ছয়টি অঙ্গরাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন ছাড়িয়েছে।এর মধ্যে নিউজার্সিতেই মারা গেছে অন্তত ২৩ জন।এছাড়া নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়াতেও অনেক লোক প্রাণ হারিয়েছে।ঘূর্ণিঝড় আইডার প্রভাবে তছনছ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।প্রথমে লুইজিয়ানা প্রদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করে এখন তাণ্ডব চালাচ্ছে নিউইয়র্কের নিউজার্সিতে।গোটা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে শুক্রবার লুইজিয়ানা সফর করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।যেখানে তিনি গভর্নর, বেল এডওয়ার্ড’র সঙ্গে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আইডার ক্ষয় ক্ষতি থেকে উদ্ধারের বিষয় আলোচনা করেন।এর আগে বৃহস্পতিবার বাইডেন বলেন, দেশের কেন্দ্রীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা এজেন্সি এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো এই অঞ্চলের প্রয়োজন পুরোপুরি না মেটানো পর্যন্ত, দিন-রাত কাজ অব্যাহত রাখবে।নিউইয়র্ক সিটি ও ওয়েস্টচেস্টার কাউন্টির কর্মকর্তারা জানান, বেসমেন্টে এপার্টমেন্টগুলোতে বন্যার জলে আটকা পড়ে বা তাদের গাড়ি বন্যার জলে ডুবে গেলে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।বন্যায় নিউজার্সিতে ২৩ জন মারা যান বলে জানিয়েছেন গভর্নর ফিল মারফি। পেনসেলভেনিয়ায় অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।এছাড়াও, কানেটিকাট ও মেরিল্যান্ডে একজন করে মারা যান।‘আইডা’ ক্যাটেগরি ৪ ঘূর্ণিঝড়, রবিবার লুইজিয়ানার উপকুলে আঘাত হানে।ঘূর্ণিঝড় ‘আইডা” পরে উত্তর-পূর্ব দিকে ধাবিত হয়ে, ঝড়ের সঙ্গে মিশে, বুধবার আরো বৃষ্টিপাত শুরু হলে, জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর নিউইয়র্ক সিটি এবং পার্শ্ববর্তী নেটওয়ার্ক ও নিউজার্সি সিটিতে প্রথম বন্যা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।বুধবার রাত থেকে নিউইয়র্ক ও নিউজার্সিতে প্রবল বর্ষণ হলেও এরই মধ্যে একটি টর্নেডোও আঘাত হেনেছে নিউইয়র্কে।সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন ধারবাহিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ইতপূর্বে ঘটার কোনো রেকর্ড নেই।