
গরমে ত্বকে প্রশান্তি আনে বরফ। পাশাপাশি বাড়ায় উজ্জ্বলতা। ত্বকের দাগ ও ব্রণের দাগ কমায়। বৃদ্ধি করে রক্তের সঞ্চালন।
এ ছাড়া চোখের নিচে ফোলা কমাতেও এ বরফ ভীষণ কার্যকরী। এখানেই শেষ নয়; বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত মুখে বরফ দিয়ে ম্যাসাজে মুখের চামড়া কুঁচকে যাওয়ার সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘামাচি, চুলকানি এবং ব্রণের ফোলা ভাব কমাতে বরফ ম্যাজিকের মতোই কাজ করে। এমনকি রোদের কারণে ত্বকে হওয়া লালচে ভাব এবং ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যাও কমায়।ত্বকের নানা সমস্যায়ও শুধু বরফ মুখে ঘষতে পারেন, আবার বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে আইস কিউব তৈরি করেও মুখে লাগাতে পারেন। রইল কয়েকটি পরামর্শ…
অ্যালোভেরা ও বেসিল আইসকিউব
অ্যালোভেরা ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব কমায়। ব্রণ নিরাময় করে। আর বেসিলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য।এটি ত্বকের ট্যান কমায়। ১ কাপ পানিতে বেসিল পাতা গুঁড়া করে মেশান। তাতে ২ চা চামচ অ্যালোভেরা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার আইস কিউব ট্রেতে ঢেলে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। বরফ জমে গেলে- একটা একটা করে আইস কিউব বের করে মুখে লাগান।
শসা ও লেবু আইসকিউব
শসা ও লেবুতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ত্বককে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল করে। ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। দূর করে ব্রণ, র্যাশ ও ত্বকের লালচেভাব। শসার পেস্ট তৈরি করে নিন। সঙ্গে একটি লেবুর রস মিশিয়ে আইস কিউব ট্রেতে ঢেলে ফ্রিজে রাখুন কয়েক ঘণ্টা। তারপর মুখে মাখুন।
গোলাপজল আইসকিউব
ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে গোলাপজল। এর আইসকিউব ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হয়, দাগছোপ কমে, বলিরেখাও দূর হয়। ১ কাপ গোলাপ জলের সঙ্গে ১ কাপ সাধারণ পানি মিশিয়ে আইস কিউব ট্রেতে ঢেলে দিন। ডিপ ফ্রিজে রাখুন। বরফ জমে গেলে একটা করে কিউব প্রতিদিন মুখে মাখুন।
হলুদ আইসকিউব
হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না। চোখের নিচে কালো দাগ ও পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে ১ চামচ হলুদ গুঁড়া ও ১ কাপ গোলাপ জল মিশিয়ে আইস ট্রেতে ঢেলে দিন। ডিপ ফ্রিজে বেশ কয়েক ঘণ্টা রাখুন। বরফ জমে গেলে একটি করে মুখে মাখুন।