প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ২০, ২০২৫, ৯:২৬ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান

অবশেষে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসের জয় বাদ দিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ১২ ম্যাচে জয় পায়নি বাংলাদেশ। সময়ের হিসাবে যা ৯ বছর।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে যে মাঠে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ সেই মিরপুরেই আজ দীর্ঘ খরা কাটালেন লিটন দাস-তাওহিদ হৃদয়রা।
জয়টা হেসেখেলেই পেয়েছে বাংলাদেশ। পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটিতে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়েও গেল স্বাগতিকরা। ২৭ বল হাতে রাখা জয়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।বাংলাদেশ যে জিতবে তা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল।
কেননা তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ১১০ রানেই আটকিয়ে দেয় বাংলাদেশ। অবশ্য বোলিং সহায়ক পিচে লক্ষ্য তাড়ার শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় ৭ রানেই যে ফিরতে হয় দুই ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটনকে। দুজনকেই আউট করেন পাকিস্তানের অভিষিক্ত বাঁহাতি পেসার সালমান মির্জা।
সেখান থেকে ৭৩ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহিদ হৃদয়। জয়ের জন্য যখন ৩১ রানের প্রয়োজন ঠিক তখনই আব্বাস আফ্রিদির বলকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে বোল্ড হন হৃদয়। ফেরেন ৩৬ রানে। জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয়ের বাকি কাজটুকু সারেন ইমন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটির ইনিংসটি খেলেছেন ৫৬ রানের।
১৪৩.৫৮ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫ ছক্কা ও ৩ চারে। অন্যদিকে চার মেরে জয় নিশ্চিত করা জাকের খেলেছেন ১৫ রানের ইনিংস।এর আগে জয়ের অর্ধেক কাজটা সেরে রাখেন বোলাররা। পাকিস্তানকে ১১০ রানে অলআউট করে। তাসকিন-মুস্তাফিজদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে না পেরে যেভাবে একের পর এক উইকেট হরাচ্ছিল পাকিস্তান, তাতে এই স্কোর হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। কেননা দলীয় ৪৬ রানেই যে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
শেষ পর্যন্ত এই স্কোরটা দাঁড় করায় ফখর জামানের সৌজন্যে। ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে অবদান কম ছিল না খুশদিল শাহ ও আব্বাসের। ১৭ রান করা খুশদিলের বিপরীতে যদি ২২ রানে ইনিংস না খেলতেন আফ্রিদি তাহলে এক শর আগেই অলআউট হতে হতো পাকিস্তানকে।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। অন্যদিকে ৬ রানে ২ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজ গড়েছেন রেকর্ড। বোলিং কোটা পূর্ণ করে সবচেয়ে কম রান খরচ করেছেন তিনি। আগের রেকর্ডটিও তারই ছিল। তবে তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে যৌথভাবে। দুজনই ৪ ওভার শেষে ৭ রান দিয়েছিলেন।
Copyright © 2025 Michigan Pratidin. All rights reserved. | Developed by UNIK BD