শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বেশিরভাগ অভিবাসী মারা যান পানিতে ডুবে: জাতিসংঘ

গত এক দশকে বিভিন্ন অভিবাসন রুটে মারা গেছেন রেকর্ডসংখ্যক আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ এদের বেশিরভাগ মারা গেছেন পানিতে ডুবেই৷ জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএম জানিয়েছে, সংখ্যাটি ৩৬ হাজারেরও বেশি৷ ইনফো-মাইগ্রেন্টসের।

 

মঙ্গলবার আইওএম-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক দশকে রেকর্ডসংখ্যক ৬৪ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী বিভিন্ন অভিবাসন রুটে মারা গেছেন৷ যাদের ৬০ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে৷অভিবাসন রুটে থাকা সাগর ও মহাসাগরগুলোর মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে ভূমধ্যসাগর৷ উত্তর আফ্রিকার উপকূল থেকে রওনা হয়ে ইউরোপের দক্ষিণে পৌঁছাতে বছরের পর বছর ধরে এই রুটটিই ব্যবহার করা হচ্ছে৷

 

আইওএম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসনে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ রুট ভূমধ্যসাগরে মারা গেছেন ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ৷

 

অনেক ঘটনার প্রকৃত তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি৷ তাই তাদের প্রতিবেদনে যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে, তা ‘প্রকৃত সংখ্যার একটি ভগ্নাংশ’ বলে উল্লেখ করেছে আইওএম৷জার্মানির রাজধানী বার্লিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইওএম-এর ডেটা বিশ্লেষক আন্দ্রিয়া গার্সিয়া বোরহা৷ তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগর ‘খুবই বিপজ্জনক অঞ্চল এবং যাত্রাও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ৷’

 

ভূমধ্যসাগরের পরিসংখ্যানকে অন্যান্য অভিবাসন রুটের তুলনায় ‘বাস্তবতার কাছাকাছি’ বলে মনে করেন আন্দ্রিয়া৷ কারণ হিসাবে তিনি বলেন, সাহারা মরুভূমির মতো অঞ্চলগুলো পর্যবেক্ষণ করা কঠিন এবং সেখানকার নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার কাজটি মোটেও সহজ নয়৷

 

আইওএম আরো জানিয়েছে, রেকর্ডসংখ্যক মৃত্যু ও নিখোঁজের মধ্যে প্রতি তিন জনে দুই জন অজ্ঞাত হিসাবে রয়ে গেছেন৷ অর্ধেকেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর ঘটনায় মৃতদের লিঙ্গ ও বয়সও শনাক্ত করতে পারেনি আইওএম৷ তাদের জাতীয়তা নিয়েও নেই প্রকৃত তথ্য৷

আইওএম জানিয়েছে, এই পরিসংখ্যানটি অভিবাসনের জন্য ‘নিরাপদ পথ না থাকায় সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে পালিয়ে আসা মানুষেরা যে বিপদের মুখে পড়ছেন, সেটাই ফুটে উঠেছে৷’

২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন অভিবাসন রুটে সাড়ে আট হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন৷ এক দশক আগে থেকে এই তথ্যগুলো সংরক্ষণ করছে আইওএম৷ সংস্থাটির মতে, ২০২৩ সালটি ছিল অভিবাসনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপর্যয়কর বছর৷২০২৪ সালে এসে এখন পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে, সেটিও ‘কম উদ্বেগজনক’ বলতে চায় না সংস্থাটি৷

আইওএম বলছে, ভূমধ্যসাগরীয় রুট ব্যবহারকারী অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় এখন পর্যন্ত কিছুটা কমেছে, কিন্তু ‘মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেশি৷’

আইওএম বলেছে, অভিবাসন রুটে মৃত্যু ঠেকাতে হলে ‘নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন পথ তৈরির’ পাশাপাশি ‘অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান জোরদার’ করার কোনো বিকল্প নেই৷

জাতিসংঘের সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, সমুদ্রে ‘আন্তর্জাতিক আইন মেনে এবং মানবিকতাকে সামনে রেখে’ দুর্দশাগ্রস্ত অভিবাসীদের জন্য আরো বেশি সহায়তার প্রয়োজন ছিল৷

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

All Rights Reserved ©2024