বৃহস্পতিবার, ১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মিয়াজুল হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৪ মে) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের নাটাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিয়াজুল উপজেলার নাটাই গ্রামের বাসিন্দা তোতা মিয়ার ছেলে ও চান্দের বাড়ির গোষ্ঠীর পক্ষের লোক। তিনি সদর উপজেলার সিএনজি পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি।

স্থানীয় লোকজন ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, অনেক বছর ধরেই চান্দের বাড়ির গোষ্ঠী ও ছলিম বাড়ির গোষ্ঠীর মধ্যে অধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। চান্দের বাড়ির গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক ইউপি সদস্য তকদির হোসেন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোবারক হোসেন। ছলিম বাড়ির গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বাহার, সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম মিয়া, সাইদ মিয়া ও বিএনপির নেতা কামাল হোসেন। গত সোমবার রাত থেকে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পূর্ববিরোধের জেরে বুধবার বেলা দুইটার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নাটাই এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় চান্দের বাড়ির মিয়াজুল হোসেন আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসক তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তির পরামর্শ দেন। সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোয়া ৬টার দিকে তিনি মারা যান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাজুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ওই ব্যক্তির শরীরে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা পাওয়া যায় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের শরীরের বুকের বামপাশে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিনের গোষ্ঠীগত বিরোধ ও দ্বন্ধের জের ধরে চান্দের বাড়ির গোষ্ঠী ও ছলিম বাড়ির গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংর্ঘষে আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১