মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় গুয়া মুসাং শহরে আদালতের বাইরে সাবেক মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রীর এই আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ৭৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ দোষী নন।

 

 

চলতি মাসে উপ-নির্বাচনের আগে মুহিউদ্দিন রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। ওই বক্তব্যে তিনি চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটের পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিয়োগের জন্য রাজার ২০২২ সালের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

 

 

তার এমন মন্তব্যকে সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমেদ শাহের প্রতি অবমাননা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তিনি ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ার রাজা হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।

 

 

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নির্বাচনের পর আনোয়ার ইব্রাহিম একটি জোট গঠন করতে সক্ষম হওয়ায় রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমেদ শাহ তাকেই প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। মূলত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়ায় রাজার অবস্থান গভীরভাবে সম্মানিত এবং এটি একটি আলঙ্কারিক পদ।

 

 

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন রাজা। মালয়েশিয়ার সাবেক রাজা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের আইনজীবীর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এই আইনজীবী জানান, মুহিউদ্দিনের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন গুয়া মুসাং আদালত। ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ১৭ মাস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। আইন অনুযায়ী, রাজার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করলে ঔপনিবেশিক যুগের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অধীনে বিচার করা যেতে পারে। এতে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির জরিমানা এবং তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

আপডেট ০৪:২৪:১৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪

মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় গুয়া মুসাং শহরে আদালতের বাইরে সাবেক মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রীর এই আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ৭৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ দোষী নন।

 

 

চলতি মাসে উপ-নির্বাচনের আগে মুহিউদ্দিন রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। ওই বক্তব্যে তিনি চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটের পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিয়োগের জন্য রাজার ২০২২ সালের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

 

 

তার এমন মন্তব্যকে সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমেদ শাহের প্রতি অবমাননা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তিনি ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ার রাজা হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।

 

 

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নির্বাচনের পর আনোয়ার ইব্রাহিম একটি জোট গঠন করতে সক্ষম হওয়ায় রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমেদ শাহ তাকেই প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। মূলত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়ায় রাজার অবস্থান গভীরভাবে সম্মানিত এবং এটি একটি আলঙ্কারিক পদ।

 

 

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন রাজা। মালয়েশিয়ার সাবেক রাজা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের আইনজীবীর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এই আইনজীবী জানান, মুহিউদ্দিনের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন গুয়া মুসাং আদালত। ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ১৭ মাস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। আইন অনুযায়ী, রাজার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করলে ঔপনিবেশিক যুগের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অধীনে বিচার করা যেতে পারে। এতে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির জরিমানা এবং তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।