সোমবার, ৩১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মিশিগানে ‘বাংলাটাউন’ নামফলক থেকে পতাকা মুছে ফেলায় ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের লক্ষাধিক প্রবাসীর ঐক্য ও ঐতিহ্যের প্রতীক ‘বাংলাটাউন’ নামফলক থেকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা মুছে ফেলেছে দুষ্কৃতকারীরা। এ ঘটনায় প্রবাসীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিন্দার ঝড় বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এই ফলকের একদিকে আমেরিকা ও বাংলাদেশের পতাকা এবং অন্যদিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ খচিত স্বাগতম বাংলাটাউন লেখা ছিল। কে বা কারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রাতের আঁধারে অন্য সবকিছু অক্ষত রেখে শুধুমাত্র বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা মুছে ফেলেছে।

২০২২ সালের ৪ অক্টোবর রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা বাংলা টাউন নাম ফলকটি কালি দিয়ে লেপন করে দিয়েছিল। তখন বিষয়টি ডেট্রয়েট সিটি পুলিশ প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দুর্বৃত্তকে চিহ্নিত করা যায়নি। এমনি অবস্থায় ঘটলো জাতীয় পতাকা মুছে ফেলার ঘটনা।

জানা গেছে, স্থানীয় জায়েন পার্কে স্থাপিত বাংলাদেশের ঐতিহ্য বহন করা ‘বাংলাটাউন’ ফলকটি সব দেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে। এটি মিশিগানে বেড়াতে আসা বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় স্পট। ২০১৫ সালের ৬ নভেম্বর মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট-হ্যামট্রমিক সিটির কনান্ট এভিনিউয়ে অবস্থিত বাণিজ্যিক এলাকাকে তৎকালীন গভর্নর রিক স্নাইডার আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলাটাউন’ স্বীকৃতি দেন। প্রবাসীদের আবেদনের পরিপূরক বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং আমেরিকা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা খচিত বাংলাটাউন নাম ফলকটি নির্মাণ করে ‘বাংলাদেশি আমেরিকান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি’ ( বেপাক)। নানা পথ-পরিক্রমায় ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ডেট্রয়েট সিটির মেয়র মাইক ডোগান আনুষ্ঠানিকভাবে ফলকের উদ্বোধন করেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব মিশিগানের (বাম) সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আহাদ আহমেদ ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, মনে হচ্ছে যারা বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অস্তিত্বকে সহ্য করতে পারছে না, তাদেরই কাজ এটা।

বাংলাদেশি আমেরিকান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির (বেপাক) ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ শাহেদুল হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। শিগগিরই পতাকাটি আবার বসানো হবে। চার বছর আগে কালিমা লেপনের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেছিলাম। কাউকে গ্রেফতার করা দূরের কথা, অভিযুক্তদের শনাক্ত করার তথ্যও জানতে পারিনি। এখন আমরা নাম ফলকের আশপাশে সিসিটিভি স্থাপনের পদক্ষেপ নেব এবং লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করব।

বেপাকের ট্রেজারার আব্দুল আজিজ খন্দকার বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে অবগত নই। যিনি এটি দেখাশোনার দায়িত্বে, তিনিও আমাদের অবহিত করেননি।

দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা নষ্ট করা বাংলাটাউন নাম ফলক দেখতে আসেন অনেকেই। তারা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের ঘটনা কখনোই কাম্য হতে পারে না। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১