
ফয়সল আহমেদঃ প্রবাদ আছে দুধ কলা দিয়ে সাপ পোষতে নেই ! কিন্ত গতকাল ওই প্রবাদবাক্যের উল্টা একটা অভিজ্ঞতা পেলাম। মিশিগান স্টেটের ট্রয় সিটির অধিবাসী আমাদের অগ্রজ শ্রদ্ধেয় সপন ভাই এর বাসায় বাল্যবন্ধু সাকিল, মিন্টু, বুলবুল, ছোট ভাই সুমন কবির ও আমি হাজির হয়েছিলাম আড্ডা দিতে।
বরাবরের মত এবারও ভাবীর আতিথেয়তা ও মুখরুচক খাবার খেতে খেতে হ্ঠাৎ উনাদের লিভিং রুমের কোণায় সাজানো গুছানো একটা বড় একুরিয়াম চোখে পড়ল, কিন্তু ভিতরে পানি না থাকায় সপন ভাইকে এর কারন জানতে চাইলাম। উনি তখন যা বল্লেন তার জন্য খুব একটা প্রস্তুত ছিলাম না!
সারমর্ম হলো একুরিয়ামটি মাছের না, এটাতে সাপ থাকে !আর উনার বড় ছেলে সাদাত সাপগুলি সাত বছর ধরে একুরিয়াম এ লালন পালন করে আসছে , সাদাত যদিও কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পরাশুনা করেছে কিন্তু জীব বৈচিত্রের প্রতি তার অনেক আগ্রহ , ইতিমধ্যে সাদাত বিভিন্ন স্পিছিসের উপর গবেষণা মুলক একটি বইও লিখা শেষ করেছে। ভাতিজা সাদত খুবই জিনিয়াস।
সবাই তখন একুরিয়াম এর ভিতরে সাপ কোথায় দেখার জন্য উকিযুকি দিতে লাগমাম কিন্তু সাপ পুরাপুরি দেখা যাচ্ছিল না। সাদাত তখন বাসায় ছিল না , কিছুক্ষণ পরে ও বাসায় আসল। আমরা তখন ওকে সাপের ব্যপারে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করতে থাকলাম এবং সাপের ব্যপারে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম , আমাদের অনুরুধে সে একটা সাপ একুরিয়াম থেকে বের করে ওর হাতে সাবলীলভাবে পেছিয়ে নিলো !
আমরাতো ভয়ে কয়েক পা পিছিয়ে গেলাম কিন্তু সাদমান আমাদেরকে অভয় দিলো যে সাপগুলি ছোবল দিবে না কারন এগুলি এখন পোষ্য হয়ে গিয়েছে ! সাহস করে আমিও একটি সাপ হাতে নিলাম, জীবনের প্রথম জীবন্ত সাপ হাতে নিলাম , এ এক আশ্চর্য অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না!
বাসায় আসার সময় ভাবছিলাম যে সাপকেও ভালবাসা দিয়ে লালন করলে ছোবল দেয়া ছেড়ে দেয় কিন্তু আমাদের সমাজে অনেক আপন জন আছেন যাদের ভালবাসা দিলেও সাথে’র ব্যাগাত হলে ছোবল দিতে কাপ’ণ্য বোধ করেন না !