সিলেটে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গোৎসব

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন হিন্দু ধর্মাবলাম্বীদের শারদীয়া বা দূর্গাপূজা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় পাঁচদিন ব্যাপী এই উৎসব। উৎসবের সাথে এবার যুক্ত হয়েছিলো ভয়ও। দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজোমণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটছিলো। এতে ভয় ছড়িয়ে পড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে। এমন ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে শুক্রবার শেষ হয়েছে হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।

শুক্রবার বিকেল থেকে সিলেট নগরের চাঁদনীঘাট এলাকায় সুরমা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। বিসর্জন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় ছিলো সিলেট জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী ফিরে যান কৈলাসে স্বামীর ঘরে। এক বছর পর আবার তিনি আসবেন মর্তে ‘পিতৃগৃহে’।

চাঁদনীঘাটে বিসর্জন অনুষ্ঠান দেখতে প্রতিবছরই প্রচুর সংখ্যক মানুষ ভিড় করেন। তবে এবার মানুষের ভিড় ছিলো তুলনামূলক কম। বিজিবিসহ নিরাপত্তাবাহিনীর কড়াকড়ি ছিলো চাঁদনীঘাট এলাকায়।

কুমিল্লার ঘটনার জেরে গত তিনদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজা মণ্ডপে হামলা ও ভাংচুর চলছে। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার সকাল থেকেই থমথমে ছিলো সিলেট নগর। দুপুরে জুমার নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এরকম একটি মিছিল থেকে নগরের আখালিয়ার হালদারপাড়ার পূজামণ্ডপে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে সকালে প্রতি মণ্ডপে দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজা শেষে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন নারীরা। এরপরই মণ্ডপগুলোতে বাজতে শুরু করে বিষাদের সুর।

পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত বলেন, সন্ধ্যায় বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গা পূজা সম্পন্ন হয়েছে। শঙ্কা থাকলেও বিসর্জনের সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটা অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে এবার পূজায় উৎসবের আমেজ ছিলো কম।

সিলেটে এবার পূজা হয় ৬০৫ মণ্ডপে, যা আগের বছরগুলোর চেয়ে বেশি। এর মধ্যে নগরে পূজা হয় শতাধিক মণ্ডপে।

শিব্বির আহমদ-মিশিগান প্রতিদিন 

Tag :
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com

সিলেটে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গোৎসব

আপডেট ০৩:২০:৪৮ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন হিন্দু ধর্মাবলাম্বীদের শারদীয়া বা দূর্গাপূজা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় পাঁচদিন ব্যাপী এই উৎসব। উৎসবের সাথে এবার যুক্ত হয়েছিলো ভয়ও। দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজোমণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটছিলো। এতে ভয় ছড়িয়ে পড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে। এমন ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে শুক্রবার শেষ হয়েছে হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।

শুক্রবার বিকেল থেকে সিলেট নগরের চাঁদনীঘাট এলাকায় সুরমা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। বিসর্জন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় ছিলো সিলেট জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী ফিরে যান কৈলাসে স্বামীর ঘরে। এক বছর পর আবার তিনি আসবেন মর্তে ‘পিতৃগৃহে’।

চাঁদনীঘাটে বিসর্জন অনুষ্ঠান দেখতে প্রতিবছরই প্রচুর সংখ্যক মানুষ ভিড় করেন। তবে এবার মানুষের ভিড় ছিলো তুলনামূলক কম। বিজিবিসহ নিরাপত্তাবাহিনীর কড়াকড়ি ছিলো চাঁদনীঘাট এলাকায়।

কুমিল্লার ঘটনার জেরে গত তিনদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজা মণ্ডপে হামলা ও ভাংচুর চলছে। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার সকাল থেকেই থমথমে ছিলো সিলেট নগর। দুপুরে জুমার নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এরকম একটি মিছিল থেকে নগরের আখালিয়ার হালদারপাড়ার পূজামণ্ডপে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে সকালে প্রতি মণ্ডপে দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজা শেষে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন নারীরা। এরপরই মণ্ডপগুলোতে বাজতে শুরু করে বিষাদের সুর।

পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত বলেন, সন্ধ্যায় বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গা পূজা সম্পন্ন হয়েছে। শঙ্কা থাকলেও বিসর্জনের সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটা অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে এবার পূজায় উৎসবের আমেজ ছিলো কম।

সিলেটে এবার পূজা হয় ৬০৫ মণ্ডপে, যা আগের বছরগুলোর চেয়ে বেশি। এর মধ্যে নগরে পূজা হয় শতাধিক মণ্ডপে।

শিব্বির আহমদ-মিশিগান প্রতিদিন