বুধবার, ২রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

হঠাৎ যুদ্ধ কেন?

কবিঃ পত্রলেখা ঘোষ


হঠাৎ নীল আকাশ মিশাইল ও রকেট প্রক্ষেপণে কালো হয়ে গেল,
বোমারু বিমান তীব্র গতিতে ছোটে অব্যর্থ লক্ষ্যে
চারিদিকের বাতাসে বারুদের ঘ্রাণ, মুহুর্মুহু বোম পড়ছে-
দিকে দিকে অশান্তির বাতাবরণ
নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুর হাহাকার।
মায়ের কোলে বসে ছোট শিশুর প্রশ্ন মা যুদ্ধ হয় কেন?
যুদ্ধ করে কি লাভ হয়?
শিশুর মত এ প্রশ্ন আমার ও।

সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই আবহমান কাল ধরে চলে আসছে এ হত্যালীলা মানুষের লালসায়,
চরম নিষ্ঠুরতায়-
ধ্বংস ও হত্যা মানুষের বিবেক বোধকে জাগ্রত করতে পারে না।
মুখে লোকদেখানি শান্তির কথা বললেও যুদ্ধবাজ রক্তপিপাসু জিঘাংসার মদিরায় অন্য রাষ্ট্রের জমি দখলে নখদাঁত বের করে বারবার,
চারিদিকে বাজে যুদ্ধের বিউগল;
মরে নিরীহ জনগণ ও সেনা।

বিজ্ঞান ও আজ মেতেছে মানুষ মারার প্রতিযোগিতায়;
পারমাণবিক যুদ্ধ হলে ম্লান হয়ে যাবে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মর্মান্তিক হত্যালীলা,
মনুষ্যত্ব পদদলিত।
তবুও বিবেকবোধ জাগ্রত হয় না
রক্তপিপাসুর সাম্রাজ্যলিপ্সার জন্য ই সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা পৃথিবী আজ রণাঙ্গনে পরিণত হয়েছে,
দিকে দিকে মানুষের রক্তবন্যা।
দুর্বল রাষ্ট্র অস্তিত্বরক্ষায় মরণপণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে;
আশা আকাঙ্ক্ষা, কামনার লেলিহান শিখায় মানবতা দগ্ধ হয়,
একসময় সব প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ে-
দুর্বল রাষ্ট্রে সবলের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়‌ প্রবল বিক্রমে শুভবোধকে পদদলিত করে।

প্রতিশোধের জন্য তৎপর হয় বিজিত পক্ষ ,
পৃথিবীর সকল রাষ্ট্র দুটি যুদ্ধশিবিরে বিভক্ত হয়ে যায়
আবারো যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়
মানুষের ঘাড় থেকে যুদ্ধভূত কখনো নামে না।
হয় না কোনো সমস্যার সমাধান,সবপক্ষের সম্মিলিত শান্তিপূর্ণ আলোচনাই কেবল সমস্যার সমাধান করতে পারে;
শুধু মানুষের বিবেক জাগ্রত হয় না।

আর হয় না বলেই জগৎজুড়ে কেবল হানাহানি আর রক্তের হোলি উৎসব
মানুষ নিজেই স্বজাতির মৃত্যু ডেকে আনে।
কেন যুদ্ধ অনিবার্য? কার স্বার্থে, কিসের লোভে?-এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে মরি,
এমন অবাঞ্ছিত ঘটনার প্রয়োজন আমি কিছুতেই মানি না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০