
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্য যুদ্ধ চলছে। এতে গাজায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২৭ হাজারের ছাড়িয়েছে। আহত ৬০ হাজারের বেশি। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিমাণও অনেক বেড়েছে।
গত সপ্তাহে জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহত ও অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ছাড়া গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান সমর্থিন হুথি গোষ্ঠী। হুথিরা ঘোষণা দিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলমুখী জাহাজে হামলা অব্যাহত থাকবে।
লোহিত সাগরে হুথিদের হামলা রুখে দিতে ও জর্ডানে ঘাঁটিতে তিন সেনা নিহতের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচের তিন দেশে হামলা চালিয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানি ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এরপরেই শনিবার ইয়েমেনে হুথি গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালিয়েছে দেশটি। ইরাকে হামলার জেরে ইতিমধ্যে মার্কিন দূতকে তলব করেছে দেশটি। এ ছাড়া ইরান, রাশিয়া এসব হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য এসব হামলা চালানো হয়নি। লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক পথ নিরাপদ রাখতে ও জর্ডানে সেনা নিহতের প্রতিক্রিয়ায় এসব হামলা। তবে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা আরও বাড়তে পারে।