ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে কিউইদের বিপক্ষে ব্যাট করতে গিয়ে একটি ডেলিভারি হাতে আটকে দিয়েছিলেন মুশফিক। আবেদনের প্রেক্ষিতে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আউট দেখান আম্পায়ার। এ ঘটনায়ই মূলত তার বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রকাশ করে দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘একাত্তর’। যা নিয়ে মুহুর্তের মধ্যে ক্রিকেটপ্রেমীদের সমালোচনার মুখে পড়েন তারা। এবার এই প্রতিবেদনকে ‘অসত্য’ ও ‘মনগড়া’ উল্লেখ করে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।
আজ মুশফিকের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, টেলিভিশন চ্যানেলটির হেড অব নিউজ, ক্রীড়া সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের কাছে বিষয়ের নিষ্পত্তি চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
যে চারটি বিষয়ে নিষ্পত্তি চাওয়া হয়েছে –
১. অতি সত্ত্বর ইউটিউবসহ অন্যান্য প্লাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অসত্য ও মনগড়া প্রতিবেদনটি সরিয়ে ফেলতে ও সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ।
২. ভুল ও অসত্য এবং মানহানিকর তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদনের জন্য ৭১ টেলিভিশনকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনাসহ তাদের টিভি চ্যানেলে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রচার করতে বলা হয়েছে ।
৩. ৭১ টেলিভিশনকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাদের এই মনগড়া, ভুল প্রতিবেদনের জন্য নি:শর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
৪. সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সাইফুল রূপককে ভবিষ্যতে এমন অসত্য ও মনগড়া প্রতিবেদন না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে মর্মে মুশফিকুর রহিমের নিকট লিখিত ভাবে ৭১ টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে ।
নোটিসে বলা হয়, প্রতিবেদনটি সাংবাদিকতার নীতি-আদর্শ মেনে করা হয়নি। পাশাপাশি একাত্তর টিভির মতো চ্যানেলে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ অপ্রত্যাশিত। প্রতিবেদনটি দন্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ এর ২৫(১)(ক), ২৫(২) এবং ২৯ ধারায় সাইবার বুলিং এর অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয় নোটিসে। প্রতিকার না পেলে ফৌজদারি ও ক্ষতিপূরন আদায়ের জন্য দেওয়ানী আদালতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
এদিকে হাত দিয়ে বল ফিরিয়ে এমন আউট হওয়া বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান মুশফিক। ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে ৮০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ খেলা অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এমন আউটের পর তীব্র সমালোচনা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমেও ট্রলের শিকার হয়েছেন তিনি।
মুশফিকের আউটের ধরন নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলটি ‘মিরপুর টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের গন্ধ, সন্দেহ সিনিয়র ক্রিকেটারের দিকে’- শিরোনামে একটি প্রতিবেদন নিজেদের ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে ফিক্সিংয়ের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়, জানানো হয় বিষয়টি বিসিবি ও আইসিসিও তদন্ত করতে পারে।
