২০০১ সালের ১১ সেপ্টেস্বরে সন্ত্রাসী হামলায় আমেরিকায় মৃত্যু হয়েছিল প্রায় তিন হাজার মানুষের।তবে ওই ঘটনার পর হামলাসংশ্লিষ্ট নানা অসুস্থতার জেরে আরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।যার সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৯০০ বলে জানানো হয়েছে।স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।এএফপি তাদের প্রতিবেদনে ৯/১১ হিসাবে পরিচিত ওই কুখ্যাত সন্ত্রাসী হামলার পরপরই আমেরিকায় ভুক্তভোগীদের সহায়তার জন্য একটি তহবিল গঠন করা হয়।পরে ২০১১ সালে এসে খোলা হয় আরেকটি তহবিল।টুইন-টাওয়ার হামলার জেরে যাঁদের শারীরিক জটিলতা দেখা দিয়েছে, তাঁদেরও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে এই তহবিল থেকে।এখন পর্যন্ত ‘দ্য সেপ্টেম্বর ১১ ভিকটিম কমপেনসেশন ফান্ড (ভিসিএফ)’ নামের এই তহবিলে সাহায্যের আবেদন এসেছে ৬৭ হাজারের বেশি।ভিসিএফ-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৬৭ হাজার আবেদনের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৯০০ আবেদন এসেছে ৯/১১–এর হামলার পরে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে।সেদিনের সন্ত্রাসী হামলার কারণে সৃষ্ট নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।এই বিষয়ে ভিসিএফ-এর শীর্ষ কর্মকর্তা রূপা ভট্টাচার্য বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের চেয়ে হামলাসংশ্লিষ্ট নানা অসুস্থতায় পরে মৃত্যুর সংখ্যাটা বেশি।’ বিগত বছরগুলোয় যাঁরা ভিসিএফের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন, তাঁদের ৫০ শতাংশই ক্যানসারের রোগী বলে জানা গেছে।ভিসিএফ বলছে, এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে ৮.৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত জঙ্গিরা কয়েকটি উড়োজাহাজ ছিনতাই করে আমেরিকার তিনটি জায়গায় আত্মঘাতী হামলা করে।দুটি উড়োজাহাজ আঘাত হানে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা টুইন-টাওয়ারে।তৃতীয় উড়োজাহাজটি আক্রমণ করে পেন্টাগনে।আর চতুর্থ উড়োজাহাজটি পেনসিলভানিয়ায়।ভয়াবহ এই হামলায় প্রাণ হারান প্রায় তিন হাজার মানুষ।
