সামনে ডিমের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে ডিমের দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।এছাড়া পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর সঙ্গে ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা।
শীতের আগাম সবজি শিম ও ফুলকপির সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো। শিম কিনতে ক্রেতাদের কেজিতে ১৬০-২০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। আর ছোট একটা ফুলকপি কিনতে লাগছে ৩০-৫০ টাকা। টমেটো ও গাজর কিনতেও ক্রেতাদের কেজিতে ১০০ টাকার ওপরে গুনতে হচ্ছে।
এছাড়া ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচকলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
আগের মতো ঢ়েঁড়সের কেজিও পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। আর বরবটির কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। তবে ছোট এক আঁটি লাল শাকের জন্য ক্রেতাদের ২০ থেকে ৩০ টাকা গুনতে হচ্ছে। মুলা শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা আঁটি, আর কলমি শাক ৫ থেকে ১০ টাকা আঁটি।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিলো ১০০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে।
সামনে ডিমের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তারা।
মাছের বাজারে রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা। মৃগেল মাছের কেজি ২৪০ থেকে ২৮০ টাক, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা আর পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে।
বাজারে ছোট-বড় সব ধরনের ইলিশেরও দেখা মিলছে। তবে দাম এখনো সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালে বাইরেই। বড় (এক কেজির বেশি ওজনের) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা আর ছোট ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। বড় ইলিশের সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।