শনিবার, ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

‘জীবন্মৃত হয়ে থাকার চাইতে মরে যাওয়াই ভাল’

রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে রাহানুমা সারাহ (৩২) নামে এক নারী সাংবাদিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

 

এদিকে বুধবার বেলা ১১টার ১১ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের লোকেশন দিয়ে ফাহিম ফয়সালের সাথে সারাহ তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।

 

 

 

সারাহ স্ট্যাটাসটা ইংরেজিতে দেন, যার অর্থ এমনটা আসে, ‘আপনার মতো একজন বন্ধু পেয়ে ভালো লাগলো, ঈশ্বর আপনাকে সর্বদা আশীর্বাদ করুন। আশা করি আপনি শিগগিরই আপনার সমস্ত স্বপ্ন পূরণ করবেন, আমি জানি আমরা একসাথে অনেক পরিকল্পনা করেছি। দুঃখিত আমাদের পরিকল্পনা পূরণ করতে পারিনি, ঈশ্বর আশীর্বাদ করুন।’

 

এছাড়া এই স্ট্যাটাসের আরো ১ ঘণ্টা আগে অন্য আরেকটি স্ট্যাটাসে সারা লিখেন, ‘জীবন্মৃত হয়ে থাকার চাইতে মরে যাওয়াই ভাল।’

 

সারাহ জি-টিভির নিউজরুম এডিটর হিসেবে কাজ করতেন। তিনি কল্যাণপুরে থাকতেন বলে জানা গেছে। সারাহ নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার ইসলামবাগ কৃষ্ণপুর গ্রামের বখতিয়ার শিকদারের মেয়ে। জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে উদ্ধার করে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

এ বিষয়ে সারাহর স্বামী সায়েদ শুভ্র বলেন, ‘আমরা সম্পর্কের মাধ্যমে সাত বছর আগে পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিলাম। গতকাল সারাহ অফিসে গিয়ে রাতে আর বাসায় না ফিরে একজনকে দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসা ভাড়ার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিল। পরে আমি তাকে ফোন করে বলি, রাতে তো তুমি বাসায় আসতে তাহলে অন্যকে দিয়ে কেন টাকা পাঠিয়ে দিয়েছ? তখন সে ব্যস্ততার কথা বলে ফোন রেখে দেয়।’

তাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, তবে বেশ কিছুদিন আগ থেকে আমার স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে চাচ্ছে। আমরা দু’জনই কাজী অফিসে গিয়ে ডিভোর্স দিয়ে আসব। দেশের এই পরিস্থিতিতে আর কাজী অফিসে যাওয়া হয়নি।

এদিকে রাহানুমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সাগর বলেন, হাতিরঝিল লেকের পানিতে ভাসমান অবস্থায় ওই নারীকে দেখতে পাই। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, আমরা লাশটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রেখেছি। ঘটনাটি হাতিরঝিল থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১