শুক্রবার, ১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জম্মু-কাশ্মিরে অস্থায়ীভাবে রিসোর্ট বন্ধের ঘোষণা ভারতের

নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন জম্মু ও কাশ্মিরে পর্যটকদের অবকাশযাপনের জন্য তৈরি ৪৮টি রিসোর্ট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপর সেখানে গণগ্রেপ্তার ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করে ভারতীয় সেনারা। এরমধ্যেই ৪৮টি রিসোর্ট অস্থায়ীভাবে বন্ধের ঘোষণা আসল।স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকার অনুমোদিত ৮৭টি রিসোর্টের মধ্যে ৪৮টি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পূর্বসতর্কতামূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে।

 

ওই হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া পর্যটকদের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, হামলাকারীরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আলাদা করে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেছে। তবে আবার কিছু পর্যটক জানিয়েছেন, হামলাকারীরা দূর থেকে গুলি করেছে। এ বিষয়টি নিয়ে দুই রকম তথ্য পাওয়া গেছে।জম্মু-কাশ্মিরে যেসব সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে সেগুলোকে ক্রস-বর্ডার ‘পাকিস্তানি সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ হিসেবে অভিহিত করে ভারত। তবে পাকিস্তান এসবের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ সবসময় প্রত্যাখ্যান করে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের যেসব মুসলিম আছেন তারা এসব হামলাকে তাদের ‘স্বাধীনতার সংগ্রাম’ হিসেবে মনে করেন।

 

২০১৯ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার জম্মু-কাশ্মিরের ‘স্বায়ত্বশাসন’ বাতিল করেন। অঞ্চলটিকে ভারতের কেন্দ্রের অধীনে নিয়ে সেখানে পর্যটন খাতের প্রসার ঘটানোর চেষ্টা করেন। তার এই প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখেছিলও। গত কয়েক বছরে জম্মু-কাশ্মিরে অসংখ্য পর্যটকের সমাগম ঘটেছিল। যা সেখানে স্থিতিশীলতার প্রমাণ দিচ্ছিল।সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বিদ্রোহী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে মাঝে মাঝে সংঘর্ষ বাধলেও গত বছর জম্মু-কাশ্মিরে গিয়েছিলেন ৩০ লাখ পর্যটক। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ এবং ২০২২ সালে ছিল ২৬ লাখ।

তবে গত সপ্তাহের হামলার পর পর্যটকরা ভীত হয়ে পড়েন। অনেকে দ্রুত কাশ্মির ত্যাগ করেন। এছাড়া হোটেল ও ফ্লাইট ক্যানসেল করার হিড়িক পড়ে যায়।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১