মঙ্গলবার, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ

সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে ১০০ করার পক্ষে বিএনপি

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৫০ থেকে ১০০টি করার পক্ষে মত দিয়েছে বিএনপি। তবে দলটি মনে করে, এই আসনে এখনই সরাসরি ভোটের সময় হয়নি, তাই দলীয় মনোনয়নের মাধ্যমেই নির্বাচন হওয়া উচিত।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপাস হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার আলোচনায় বিএনপির পক্ষ থেকে এই অবস্থান উপস্থাপন করা হয়।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনপদ্ধতি আনুপাতিক। এখন আসন আছে ৫০টি। আমাদের দলের পক্ষ থেকে আরও ৫০টি আসন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রায় সব দলের একই রকম প্রস্তাব ছিল, কিছু কিছু দল বাদে। তবে এর নির্বাচনপদ্ধতি কী হবে, সে বিষয়ে কোনো ঐক্য এখনো হয়নি। আরও আলোচনার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।’
সরাসরি নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি নির্বাচনের জন্য যে পদ্ধতিগুলো… ঘূর্ণমান পদ্ধতি অথবা সরাসরি পদ্ধতি যেগুলো আলোচনায় এসেছে, সেটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক বা সংসদীয় সংস্কৃতিতে ভিজিবল (দৃশ্যমান) বলে আমাদের মনে হয়নি। সে জন্য বলেছি, আরও প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে হয়তো এক বা দুটি সংসদ চলার মধ্য দিয়ে এটি এমন একটি অবস্থায় যাবে, যাতে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যাবে।’
নারীদের অগ্রগতির প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নারী সমাজের এখনো সে রকম অগ্রগতি হয়নি। তাঁদের আরও বেশি এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই বিশেষ বিধান রাখা উচিত। সমাজ একটা পর্যায়ে পৌঁছালে তখন আর হয়তো বিশেষ বিধান রাখার প্রয়োজন না–ও হতে পারে। তার আগপর্যন্ত রাখতে হবে।’
বিএনপির পক্ষ থেকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বিষয়ে প্রস্তাব তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে বিরোধী দলীয় সদস্যদের মধ্য থেকে করার প্রস্তাব উত্থাপন হয়েছিল, সব সভাপতির পদ বিরোধীদলীয় সদস্যদের দেওয়া যায় কি না। এ বিষয়ে প্রথম পর্বের আলোচনায় প্রত্যেকে লিখিত ও মৌখিক জবাব দাখিল করেছিল। কয়েকটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিরোধীদলীয় সদস্যদের দেওয়ার ব্যাপারে তখনই প্রায় সব দল একমত হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে বিরোধী দলীয় সদস্যদের মনোনীত করার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে মনে হয়েছে। তবে কয়টি সংখ্যা ও কোন কোন মন্ত্রণালয়, সেটি এখনই নির্ধারণ হবে না। সেটি জাতীয় সংসদে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে এবং বিরোধী দলের আকারের বিষয়টিও ভূমিকা রাখবে। সেই সংখ্যা তখন নির্ধারণ করা যাবে। কারণ, বিরোধী দলের সদস্য সংখ্যা কম হলে এখনই এই শতাংশ নির্ধারণ করা হলে সেটি প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।’
সকালে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার এ বৈঠকে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও সংরক্ষিত নারী আসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এলডিপি, এনসিপিসহ মোট ২৮টি রাজনৈতিক দল ও দুটি জোট অংশ নেয়। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ।

শেয়ার করুনঃ