
উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে অববাহিকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে যেতে শুরু করেছে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ফসলের ক্ষেত। ফলে চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা সংলগ্ন অঞ্চল লালমনিরহাট জেলায় ৫টি উপজেলায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
আর রবিবার বিকাল ৩টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিতি দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাতের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে ধারণা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতেরকিছু প্রদেশে ভারী থেকে অভিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এসব নদ-নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় আও বৃদ্ধি পেতে পারে ও পরবর্তী দুই দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে।
এছাড়া আগামী তিন দিন রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি-ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে তিস্তা নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিতি দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে ও লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, ‘তিস্তা তীরবর্তী এলাকার জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডও কাজ করছে। বন্যা দেখা দিলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’