
ভারতে গ্রেফতার হয়েছেন বাংলাদেশি মডেল-অভিনেত্রী শান্তা পাল। এরইমধ্যে তাকে আটদিনের পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। গত বুধবার কলকাতার লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগ তাকে গ্রেফতার করে।
এ ছাড়া, অন্ধ্রপ্রদেশে বসবাস করা তার স্বামীর বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। ‘মিস এশিয়া গ্লোবাল’ খেতাব ছাড়াও বেশ কয়েকটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন শান্তা। করেছেন মডেলিংও। ২০২১ সালে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। পরে প্রতিযোগিতাটির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আলোচনায় আসেন তিনি। নাটকেও কাজ করেছেন শান্তা। ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন, যদিও সেটি এখনো মুক্তি পায়নি।
একটি তেলেগু সিনেমায় অভিনয়ের কথাও শোনা যায় তার। তবে, বাংলাদেশের মিডিয়ায় সুবিধা করতে না পেরেই মূলত ভারতে পাড়ি জমান শান্তা। সেখানে ব্যবসার পাশাপাশি চেষ্টা করেন মডেলিংয়ে থিতু হওয়ার। এদিকে গ্রেফতার হওয়ার পর জানা গেছে, শান্তা পালের কাছে ভারতীয় আধার কার্ড ও ভোটার আইডি পাওয়া গেছে। যদিও সেগুলো তার কাছে কীভাবে এলো, তার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশের একাধিক পাসপোর্ট এবং একটি এয়ারলাইন্সের পরিচয়পত্র, এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রও মিলেছে তার কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, কোনো ভিসা দেখাতে পারেননি শান্তা।
২০২৩ সালে ভিসা নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন তিনি, যার মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার পাসপোর্টের মেয়াদও শেষ হয়েছে চলতি বছর। তবে তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, কলকাতায় একটি স্টার্টআপ করার পরিকল্পনা ছিল তার। পুলিশ জানায়, শান্তা ২০২৩ সাল থেকে যাদবপুরের বিজয়নগরে একটি ভাড়া বাসায় ছিলেন।
সম্প্রতি তিনি ঠাকুরপুরে পুলিশ স্টেশনে একটি জালিয়াতির মামলাও দায়ের করেন। সেখানেও তিনি ভিন্ন ঠিকানা দেন। তদন্তকারীদের মতে, তিনি বিভিন্ন সময় ঠিকানা পরিবর্তন করতেন এবং বিভিন্ন পরিচয়ে থাকতেন। পুলিশ জানিয়েছে, শান্তা ভারতীয় নথির বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বর্ণনা দিতে পারেননি। তদন্তকারীরা সন্দেহ করছে, এর সঙ্গে একটি বৃহত্তর চক্র জড়িত থাকতে পারে।