রবিবার, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আল্লাহ ভাইকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে দাফন করা হয়েছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ ওসমান হাদিকে। দাফন শেষে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক মোনাজাত পরিচালনা করেন। এসময় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আল্লাহ আমার ভাইয়ের শাহাদাত কবুল করুন’।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে দাফন-পরবর্তী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাদির ভাই আবু বকর সিদ্দিক প্রার্থনা করে বলেন, আল্লাহ যেন শরিফ ওসমান হাদিকে কবুল করেন এবং তাকে শহীদ হিসেবে মর্যাদা দেন। তিনি ওসমান হাদির জীবনের সব গুনাহ মাফ করে দিতে এবং তার পরিবারকে শোক সইবার শক্তি দিতে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানান।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ যারা শরিফ ওসমান হাদির সঙ্গী ছিলেন এবং যারা অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন– সবার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন। একইসঙ্গে ওসমান হাদির রেখে যাওয়া ইনকিলাব মঞ্চ এবং তার করা সব কাজ আগামীতেও এগিয়ে নেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে তৌফিক প্রার্থনা করেন।

এর আগে বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকের ইমামতিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে তার জানাজা হয়। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেন।

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে রিকশায় থাকা হা‌দির মাথায় গুলি করে মোটরসাইকেলে আসা এক সন্ত্রাসী। ৬ দিন পর গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ দেশে আনা হয়।

ওসমান হাদি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে শুরু করেন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন ‘ইনকিলাব মঞ্চ’। প্রতিষ্ঠা করেন ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার। তিনি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

শেয়ার করুনঃ