বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দুই বান্ধবী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসি কার্যকর

দুই বান্ধবীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়েছে সোমবার দিবাগত রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে। ঘটনাটি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়লক্ষীপুর গ্রামে ঘটে।
কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
যাদের ফাঁসি কার্যকর করা হলো তারা হলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়লক্ষীপুর গ্রামের আলী হিমের ছেলে মিন্টু ওরফে কালু (৫০) এবং একই গ্রামের বদর ঘটকের ছেলে আজিজ ওরফে আজিজুল (৫০)।
ফাঁসি কার্যকরের সময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি এবং কারাগারের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফাঁসি কার্যকরের পর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে দুই আসামির মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতেই একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাদের মরদেহ গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়লক্ষীপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য কারাগারের জল্লাদ হিসেবে মশিয়ার, কেতু, কামালসহ বেশ কয়েকজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান জানান, শনিবার দুই আসামির পরিবারের সদস্যরা তাদের সাথে শেষবারের মতো দেখা করে যান। বিচারিক ও সব ধরণের আইনি প্রক্রিয়া শেষে ১৮ বছর পর এ মামলার রায় কার্যকর হলো।

কারাগার সূত্রে জানা যায়, আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ এবং মিন্টু ওরফে কালু ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বরে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়লক্ষীপুর গ্রামের মাঠে দুই বান্ধবী কমেলা খাতুন ও ফিঙ্গে বেগমকে শ্বাসরোধ করে ও গলা কেটে হত্যা করে। এর আগে তাদের ধর্ষণ করা হয়।

নিহত কমেলা খাতুনের মেয়ে নার্গিস বেগম বাদী হয়ে এ ব্যাপারে ২০০৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। এ মামলায় চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই আসামি আজিজুল ও মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ড ও ২ লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। পরে আসামিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন। চলতি বছরের ২৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টেও একই রায় বহাল রাখার আদেশ হয়। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ হয়।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

All Rights Reserved ©2024